পোশাকে ভিন্নতা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ধাপে জড়িয়ে আছে কোনো না কোনো ফ্যাশন অনুষঙ্গ।ফ্যাশন হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যা প্রয়োগের ফলে সব বয়সীদের কাছে নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করা যায় খুব সহজে। জীবন যেমন গতিশীল, পরিবর্তনশীল তেমনি সমান্তরালভাবে পরিবর্তন ঘটে ফ্যাশনেও।
গত কয়েক বছরে আমাদের ফ্যাশন ভাবনায় যুক্ত হয়েছে নানা অনুষঙ্গ।তেমনি একটি ফ্যাশন অনুসঙ্গ হলো শার্ট। এখন শার্ট শুধু অফিস বা অনুষ্ঠানের পোশাক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেনা শার্ট পরিণত হয়েছে সার্বজনীন পোশাকে।
এই আউটগোয়িং রেডি টু ওয়ারটি এখন হাল ফ্যাশনে জনপ্রিয়তা পেয়েছে পুরুষদের পাশাপাশি তরুণীদের কাছেও। আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ফোরকাস্টিং এবং ডিজাইনারদের চুলচেরা বিশ্লেষনে শার্টের নকশায়ও এখন এসেছে বেশ পরিবর্তন।
কাটছাঁটে সম্পূর্ণ ভিন্ন এসব শার্ট খুবই আরামদায়ক, এবং স্টাইলিশ তো বটেই। সিনথেটিক কাপড়ের পরিবর্তে শার্ট তৈরিতে এখন ব্যবহৃত হচ্ছে নরম সুতি কাপড়। খাদি এবং লিনেনও ব্যবহার হচ্ছে। প্রিন্টের ক্ষেত্রে বড় বড় চেক এখন বেশ জনপ্রিয়।
স্ট্রাইপ বা ছোট চেকও কম জনপ্রিয় নয়। আরামের দিকটা বিবেচনা করলে বাটিক এবং টাইডাইযয়ের শার্ট বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। এছাড়া একরঙা ও স্ক্রিনপ্রিন্টের শার্ট তো আছেই!
এমব্রয়ডারির নকশাও করা হচ্ছে কোনকোনটিতে।বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং ননব্র্যান্ডের পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মেয়েদের জন্য তৈরি করছে বৈচিত্র্যময় ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট।
ফ্যাশন সচেতন, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণীরা স্কার্ট, জেগিংস বা প্যান্টের সাথে শার্ট পরে থাকে। তবে তা অবশ্যই মানানসই হওয়া চাই। প্যান্টের সাথে যে শার্ট মানাবে তা স্কার্টের সাথে নাও মানাতে পারে।
একইভাবে ফরমাল ও ক্যাজুয়াল প্যান্ট এবং বড় ঘের- ছোট ঘেরের স্যুটের সাথে অবশ্যই মানানসই শার্ট পরা উচিত। ডেনিম প্যান্টের সাথে যে শার্ট ভাল লাগবে তা নরমাল প্যান্টের সাথে সাধারণত মানায় না।
জিন্স কিংবা ফরমাল প্যান্টের সাথে পরা উচিত ফরমাল শার্ট। আবার বৈচিত্র্যপূর্ণ ডেনিম-জিন্স প্যান্টের সাথে পরা উচিত ক্যাজুয়াল টাইপের শার্ট। মেয়েদের শার্টে ফিটিংটা খুব জরুরি।
সৌন্দর্যের জন্য ফিটিং শার্ট ব্যবহার করা উচিত প্রত্যেক ফ্যাশন সচেতন তরুণীর। শার্টের সুন্দর ফিটিংয়ের জন্য টেকেন কাটিং প্রিন্সেস কাটিং দেয়া যেতে পারে। কাফ, কলার ইত্যাদির মাপ হতে হবে জুতসই।
শার্টের ধরন বুঝে বিভিন্ন রকম হাতা ব্যবহার করা হয়। ফুল ভি, হাফ ভি, থ্রি কোয়ার্টার, ভিলেস নানা রকম কাটিং হয় হাতার। ফরমাল শার্টের ক্ষেত্রে কলার হতে পারে নরমাল কিংবা জ্যাকেট কলার।
তবে মেয়েদের শার্টে পেছনে কলার ঠিক রেখে সামনের দিকে পরিবর্তন করা যেতে পারে। উঁচু কলারের সাথে সামনে ঝালর, ভি শেপ, ডিপ ভি শেপ কলার হতে পারে। শার্টের দৈর্ঘ্য হতে হবে মাপ মতো।
নিচের দিকে চাইনিজ কাট, ভি কাট কিংবা স্ট্রেট কাট দেয়া যেতে পারে। কাপড়ের বিষয়েও ভাবা জরুরি। যেকোনো কাপড়েরই শার্ট হতে পারে। তবে তা যেন অবশ্যই আরামদায়ক হয়। সুতি, জর্জেট, লিলেন, স্ট্রেব, নেট, ভেলভেট, সিল্ক, ক্রেপ ইত্যাদি নানা কাপড়ের তৈরী করা শার্ট এর চল এখন বেশ চলছে।
যেখানে পাবেনঃ
রাজধানীসহ দেশের প্রায় সব শপিং মলেই পাবেন বাহারি এসব শার্ট। এছাড়া নিজের পছন্দমতো কিনতে পারেন ফ্যাশন হাউস আমবার লাইফস্টাইল, একস্ট্যাসি, ক্যাটস আই,ইয়েলো , জেন্টল পার্ক ওমেন, ওয়েস্টেকস, স্মার্টেক্স, ওটু, ফ্রিল্যান্ড, আর্টিস্টি, তানজিম স্ট্রিটসসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দোকানে।
ব্র্যান্ডগুলোর ফেসবুক পেইজে নিত্যনতুন পোশাকের আপডেট পাবেন। আর যদি নিজের পছন্দসই ইউনিক ডিজাইন এর শার্ট পরে সবাইকে তাক লাগাতে চান তাহলে আপনার ঢুঁ মারতে হবে প্রসিদ্ধ কোন দর্জিবাড়িতে।