রহস্যময় দ্বীপ ‘বাল্ট্রা’

প্রকাশঃ মে ১০, ২০১৫ সময়ঃ ৩:১৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ

ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:

পৃথিবী সৃষ্টির মতোই রহস্যময় পৃথিবীর সব কিছুই। তবে অনেক রহস্য উন্মোচনের পর সেগুলো এখন আর রহস্য মনে হয় না। কিন্তু অনেক রহস্যই এখনো রয়ে গেছে অদেখা, অজানা। যেমন কোনো মীমাংসা হয়নি বাল্ট্রা দ্বীপের রহস্যও।

???????????????????????????????????????মানববসতিশূন্য একটি দ্বীপ বাল্ট্রা। ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের একটি বিশেষ দ্বীপ এটি। দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডরের নিকটবর্তী ১৩টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত ম্যালাপোগোস দ্বীপপুঞ্জ। আর এই ১৩টি দ্বীপের একটি হচ্ছে বাল্ট্রা। বাল্ট্রা এখানকার অন্য ১২টি দ্বীপ থেকে একেবারেই অন্যর কম, অদ্ভুত ও রহস্যময়। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপপুঞ্জ হওয়ায় প্রচুর বৃষ্টি হয় এই দ্বীপে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার বৃষ্টির এক ফোঁটাও পড়ে না বাল্ট্রাতে! কোনো এক রহস্যজনক কারণে বাল্ট্রার অনেক ওপর দিয়ে গিয়ে অন্যপাশে পড়ে বৃষ্টি। বাল্ট্রার অর্ধেক পার হওয়ার পর বৃষ্টির ফোঁটা আর এগোয় না এক ইঞ্চিও। এখানকার প্রতিটি দ্বীপেই আছে সিল মাছ, ইগুয়ানা, দানবীয় কচ্ছপ, গিরগিটিসহ বিরল প্রজাতির পাখি। শুধু বাল্ট্রা বাদে।

বাল্ট্রা দ্বীপে নেই কোনো প্রাণী, উদ্ভিদ বা কীটপতঙ্গ। বাল্ট্রা আর পাশের দ্বীপ সান্তাক্রজের মাঝে তিন ফুট গভীর ও কয়েক ফুট চওড়া একটি খাল আছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এ গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের কয়েকটি পরের দ্বীপে এয়ারবেস স্থাপন করে ইউএস সরকার। ফ্রেন্সিস ওয়ানার ছিলেন এখানকারই একজন দায়িত্বরত অফিসার। এ দ্বীপপুঞ্জে থাকাকালীন বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনা আর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হন তিনি। যেগুলো পরে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে রীতিমতো বিস্ময়ের ঝড় ওঠে। তিনি লিখেছেন, ‘জীবনের সবচেয়ে বড় বিস্ময়কর ঘটনাগুলোর মুখোমুখি হয়েছি আমি বাল্ট্রা দ্বীপে গিয়ে।

একটি নয়, দুটি নয়, একের পর এক অসংখ্য অবিশ্বাস্য সব ব্যাপার ঘটেছে আমার চোখের সামনে। বিস্ময়ে হতবাক আমি শুধু দৃষ্টি মেলে দেখেই গেছি এসব, কোনো যুক্তিযুক্ত উত্তর বা ব্যাখ্যা খুঁজে পাইনি। সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি শক্তি কাজ করছে দ্বীপটির ভেতর। যার প্রভাবে ঘটেছে একের পর এক এসব রহস্যময় ও অবিশ্বাস্য ঘটনা। বাল্ট্রাতে এলেই অস্বাভাবিক আচরণ করে নাবিক বা অভিযাত্রীর কম্পাস। সবসময় উত্তর দিক নির্দেশকারী কম্পাস এখানে কোনো সময় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। দিক-নির্দেশক কাঁটা ইচ্ছেমতো ঘুরতে থাকে অথবা উল্টাপাল্টা দিক নির্দেশ করে।

শুধু কি তাই, উড়ন্ত পাখিগুলোও উড়তে উড়তে বাল্ট্রার কাছে এসেই ফিরে যাচ্ছে। দেখে মনে হয় যেন কোনো দেয়ালে ধাক্কা খাচ্ছে ওরা। এই দ্বীপের রহস্যের কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশেপাশের প্রতিটি দ্বীপেই রয়েছে সিল মাছ, ইগুয়ানা, দানবীয় কচ্ছপ, গিরগিটিসহ বিরল প্রজাতিরপ্রাণী। বাল্ট্রাতে নেই কোন প্রাণী , উদ্ভিদ বা কীটপতঙ্গও। নেই কোন মানুষের বসবাস।20012015213437

অদ্ভুত এ বাল্ট্রা দ্বীপে কোনো পশুপাখি আসতে দেখা যায় না। জোর করে এলেও কোনো পশুপাখিকে বসতি করানো যায়নি। দেখা গেছে, বাল্ট্রাকে এড়িয়ে পাশের দ্বীপ সান্তাক্রুজের ধার ঘেঁষে চলে যায় সব প্রাণী।

এর পরেও অসংখ্য মানুষ গিয়েছেন এই দ্বীপে বেড়াতে বা কাজে। তারাও মুখোমুখি হয়েছেন এমনই নানান বিস্ময়কর অভিজ্ঞতার।এই দ্বীপের রহস্যের কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা এখনও পর্যন্ত খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।

কি? যাবেন নাকি একবার এই রহস্যময় দ্বীপে। এত কথা শোনা থুড়ি পড়বার পর সে ইচ্ছে হতেই পারে। সে ক্ষেত্রে কিন্তু একটা আবদার রইল আমাদের তরফ থেকেও, ফিরে এসে সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতাটা আমাদের পাঠকদের সঙ্গেই ভাগ বাঁটোয়ারা করতে হবে।

প্রতিক্ষণ/এডি/জহির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G