সহিংসতা রোধে ঐক্যবদ্ধ জনপ্রতিরোধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশঃ জানুয়ারি ১৮, ২০১৫ সময়ঃ ৭:২৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:২৫ অপরাহ্ণ

nasimজেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

গাইবান্ধা : ‘দেশের চলমান নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে অবরোধকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সহিংসতা ও নাশকতাবিরোধী জনসভায় একথা বলেন। পলাশবাড়ী এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রবিবার বিকেলের এটি অনুষ্ঠিত হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অবরোধ ও হরতালের নামে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী তৎপরতা ও নাশকতা প্রতিরোধে পলাশবাড়ী উপজেলাসহ গোটা জেলার মুক্তিযুদ্ধের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’

তিনি বলেন, অবরোধ-হরতালের নামে যারা নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করছে, ওই সব সন্ত্রাসীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এ জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গঠন করারও আহ্বান জানান তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, ‘২০১৯ সালের আগে এ দেশে আর কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। এ নিয়ে কারো সঙ্গে কোনো আলোচনা করারও আগ্রহ নেই ১৪ দলের। যারা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে দেশের অসহায় মানুষকে হত্যা করছে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার অর্থই হচ্ছে জনগণকে অবমূল্যায়ন করা।’

তিনি খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেন, ‘তাকে কেউ অবরুদ্ধ করে রাখেনি। তিনি নিজেই অবরুদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী ক্যাডারদের লেলিয়ে দিয়েছেন। তারা এখন হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাওপোড়াও ও অগ্নিসংযোগ করে অসহায় মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। মা-বোন শিশুদেরও নির্বিচারে হত্যা করছে। এ অবস্থা আর বরদাস্ত করা হবে না। এ জন্য তাকেও (খালেদা জিয়া) বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গাইবান্ধায় বিএনপি-জামায়াত জোট সাত নিরীহ মানুষকে খুন করেছিল। খালেদা জিয়া ওই সময় সেই জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নির্বাচন বানচাল করতে চেয়েছিলেন। দেশে কেয়ামতের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিলেন তারা। নির্বাচনে অংশ না নিয়ে তারা প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ-বিজিবিসহ একের পর এক সাধারণ মানুষকে হত্যা করেন। কিন্তু এতকিছু করেও খালেদা জিয়া ও তার দোসররা নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি।’

পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সংরক্ষিত সংসদ সদস্য (গাইবান্ধা-জয়পুরহাট) এ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি।

এ ছাড়া গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সৈয়দ-শামস-উল আলম হিরু, সাধারণ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক মণ্ডল, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এস এম খাদেমুল ইসলাম খুদি, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি আমিনুল ইসলাম গোলাপ, জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মারুফ মনা, জেলা ন্যাপের লুৎফর রহমান রঞ্জু, পলাশবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এ কে এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, পলাশবাড়ী উপজেলা জাসদের সভাপতি নুরুজ্জামান প্রধান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল সরকার, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর প্রধান ও গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি আবদুল মান্নান এ সময় বক্তব্য রাখেন।

প্রতিক্ষণ/এডি/কবির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G