ব্লগার হত্যার ঘটনায় লেখকদের খোলাচিঠি
বাংলাদেশে ব্লগার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিশ্বের দেড়শতাধিকের বেশি লেখক নিন্দা জানিয়েছেন। দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খোলাচিঠিতে সালমান রুশদিসহ দেড়শতাধিকের উপর লেখকরা স্বাক্ষর করেন।
ওই চিঠিতে চলতি বছরের গত তিন মাসের মধ্য সংগঠিত এসব হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা যেন আর না ঘটে, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া, এসব ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করারও অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
শুক্রবার গার্ডিয়ানে প্রকাশিত চিঠিতে ব্লগার ও বিজ্ঞান বিষয়ক লেখক অনন্ত বিজয় দাস, অভিজিৎ রায় ও ওয়াশিকুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করা হয়। বেশ কয়েকটি আক্রমণের ঘটনা ঘটলেও এর জন্য কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় গার্ডিয়ানের চিঠিতে স্বাক্ষর করা লেখকেরা শোক ও উদ্বেগ জানিয়েছেন।
ওই চিঠিতে জানানো হয়, এই তিন ব্লগারসহ ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে মত প্রকাশকারী লেখক ও সাংবাদিকদের প্রতি এমন সহিংসতার ঘটনায় তাঁরা উদ্বিগ্ন।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা বাংলাদেশের অন্যতম মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার বলে উল্লেখ করে এই লেখকেরা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বিচারের ব্যবস্থা করতে দাবি জানিয়েছেন।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী মধ্যে আরও আছেন ম্যান-বুকার পুরস্কার বিজয়ী লেখক ইয়ান মার্টেল এবং আইরিশ লেখক কোলম টবিন, ভারতীয় লেখক অমিতাভ ঘোষ, পেন ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট জন র্যাণলস্টন সউলসহ আরও বিভিন্ন দেশের লেখকরা।
লেখকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘পেন’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই খোলা চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নেয়।
গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইয়ান মার্টেল বলেছেন, “বাংলাদেশে ব্লগারদের হত্যার ঘটনা এমন ভয়ংকর ধরণের অপরাধ যে এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে কিছু একটা করতেই হবে।”
ইয়ান মার্টেল বলেন, কোন পশ্চিমা দেশের সরকারের চাইতে তাদের এই চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে অনেক বেশি প্রভাবিত করা যাবে বলে মনে করেন তিনি। কারণ অন্য দেশের সরকারের তরফ থেকে এধরণের আবেদন, নিবেদন বা চিঠিকে রাজনীতিকরা আর খুব বেশি গুরুত্ব দেন না। সে তুলনায় তাদের চিঠি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অনেক বেশি বিক্ষুব্ধ করবে বলে মনে করেন তিনি।
গার্ডিয়ান পত্রিকার নিউজ লিঙ্ক
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর