ইলেকট্রনিক সিগারেট
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, শুধু ক্ষতিকর বললে কম বলা হবে। বরং বলা উচিত, ধুমপান স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ধুমপানের কারণে এ পৃথিবীতে অনেক মানুষ সবার অজান্তে অকালেই ঝরে যাচ্ছে। ধুমপানের ফলে সৃষ্ট তাৎক্ষণিক ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যাগুলো জীবনকে বিপন্ন করে তোলে।
কিন্তু ‘ধুমপান’ মৃত্যুর কারণ জানা সত্ত্বেও মানুষ ধুমপান করে এবং শত চেষ্টা করেও ধুমপায়ীরা এই অভ্যাসটি ত্যাগ করতে পারে না।
আধুনিক বিজ্ঞান এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে নিয়ে এসেছে “ই-সিগারেট” বা “ইলেকট্রনিক সিগারেট”। যদিও এই সিগারেট নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে। কানাডাসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশেই এই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ। যুক্তরাজ্যের গবেষকদের মতে, ইলেকট্রনিক সিগারেট মূলত ধূমপায়ীদের ধূমপানের নেশা কমানোর ব্যবস্থা৷
ই–সিগারেট:
ই-সিগারেট ব্যাটারি চালিত এমন এক ডিভাইস, যা দেখতে সিগারেটের মতো হলেও ভেতরে নিকোটিন থাকে খুব সামান্য৷ টানবেন, ধোঁয়া বেরোবে, ধোঁয়ায় নিকোটিনের গন্ধ আছে বলে মনে হবে সিগারেটই টানছেন, কিন্তু এর ফলে শরীরের ক্ষতি বলতে গেলে হবেই না৷
গঠন:
একাধিক চেম্বারের সমন্বয়ে ই-সিগারেট গঠিত। একটি চেম্বারে থাকে নিকোটিনের দ্রবণ, যাকে গরম করে তোলে অন্য চেম্বারে থাকা একটি ব্যাটারি। ব্যাটারি থেকে নির্গত বিদ্যুৎ-তরঙ্গের স্পর্শে নিকোটিন-দ্রবণ ফুটতে শুরু করে। যে ধোঁয়া বেরোয়, তা নিকোটিনের গন্ধে ভরপুর। ওই ধোঁয়া মুখে ভরে ফের নাক-মুখ দিয়ে ছেড়ে দিলেই হল।
আসল সিগারেটের সাথে এর পার্থক্য:
আসল সিগারেটের ধোঁয়ার সাথে যে হাইড্রোকার্বন ও রাসায়নিক বের হয় তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এর ফলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আসল সিগারেটের তামাকের মোড়ক হিসেবে যে কাগজ ব্যবহৃত হয় তা ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ই-সিগারেটে সামান্য নিকোটিন থাকে যা সহনমাত্রার মধ্যে। এ ছাড়া, স্বাস্থ্যহানিকর কোনও রাসায়নিক এতে ব্যবহৃত হয় না।