মৃতদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শহর!
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
ধারণা করা হয়, শহর সৃষ্টির মূলে ছিল কৃষি বিপ্লব। এর ফলে মানুষ খাদ্য উৎপাদনের তাগিদে স্থায়ীভাবে একস্থানে বসবাস শুরু করে। এই ঘন জনবসতির ফলেই ধীরে ধীরে শহর গড়ে ওঠে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে শহরকে সাজানো হয়। আমরা সবাই জানি শহর শুধু জীবিত ব্যক্তিদের বসবাসের জন্যই তৈরি হয়।
কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে, শুধু মৃতদের জন্য আস্ত একটি শহর! হাজার হাজার দেহ শায়িত। কোনও জীবিত ব্যক্তি বসবাস করতে পারবেন না সেখানে। চিরঘুমে শায়িতরাই রাজত্ব করবে ওই শহরে। জেরুজালেমে তৈরি হতে চলেছে `সিটি অফ দ্য ডেড’ নামের এমনই একটি শহর।
বিশ্বের অন্যতম বড় শহরগুলির চেয়ে আধুনিকতায় কোনও অংশে কম হবে না `সিটি অফ দ্য ডেড’ শহরের।
পুরোটাই হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। হালকা, স্নিগ্ধ আলোয় এক রোমাঞ্চকর পরিবেশ সবসময় বিরাজ করবে সেই শহরে। থাকছে লিফট-এর ব্যবস্থাও। কিন্তু বাসিন্দারা সকলেই হবে মৃত।
বিশ্বের এই বৃহত্তম কবরস্থান তৈরি করা হচ্ছে অত্যাধুনিক শপিংমলের মতো। ইহুদি প্রেস নিউজ-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ২২ হাজার তলার কবরস্থানটি তৈরি করতে খরচ পড়ছে ৫ কোটি মার্কিন ডলার। বিশেষ ধরনের স্নিগ্ধ আলোও থাকবে।
ইজরায়েলি নাগরিকরা প্রত্যেকেই চান, মৃত্যুর পর জেরুজালেমের মতো পবিত্র শহরে শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে। ফলে প্রত্যেক বছরই জেরুজালেমে বিশ্বের নানা জায়গা থেকে ইহুদিরা তাঁদের মৃত পরিজনকে কবর দেন জেরুজালেমে। এই বিপুল শেষকৃত্যের চাপ কমাতেই জেরুজালেম প্রশাসন কার্যত একটি গোরস্থানের শহর তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতোমধ্যে এই সুবিশাল কবরস্থানের প্রথম পর্যায়ের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/জহির