ডিজিটাল অপরাধ দমনে নতুন আইন

প্রকাশঃ জুন ৯, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:০০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ain montriবর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল অপরাধ দমনে নতুন আইন প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে সরকার। জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।সোনারগাঁও হোটেলে মঙ্গলবার দুপুরে ‘তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০০৬’ এর সংশোধনের লক্ষ্যে ‘আর্টিকেল ১৯’ আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী একথা জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে সাইবার অপরাধ বেড়েছে। এ অপরাধ দমন করতে হলে নতুন আইনের বিকল্প নেই। আর সে লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। পুরনো আইন দিয়ে আর চলবে না, ডিজিটাল অপরাধ দমনে নতুন আইন লাগবে।

‘বর্তমান সরকার মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়। তবে যারা মতপ্রকাশের নামে অপরাধ সংগঠিত করবে সরকারের অবস্থান তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি নতুন এ্যাভিডেন্স এ্যাক্ট প্রণয়ণ করতে যাচ্ছে সরকার, বলেন তিনি।

এছাড়া সম্প্রতি যে ক’জন ব্লগার খুন হয়েছে সে বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এসব ঘটনায় অপরাধীদের ধরা হয়েছে। কাউকেই সরকার ছাড় দিচ্ছে না।’

বিশেষ অতিথি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৮ সালের আগে যেখানে ১০ লাখের কম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৫৭ লাখ। প্রায় ৩০ শতাংশ জনগণ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাইবার ওয়ার্ল্ড যত বড় হচ্ছে, সাইবার সিকিউরিটি ইস্যুটা ততটা গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করতে হচ্ছে। বর্তমানে দেশে মোবাইল, কম্পিউটার বাড়ছে একই সঙ্গে বাড়ছে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।’

তিনি বলেন , ‘আমাদের সাইবার নিরাপত্তা আইনের অনুপস্থিতির কারণেই মূলত আইসিটি এ্যাক্ট এর ৪৬ এবং ৮৭ ধারা নিয়ে এত আলোচনা করতে হচ্ছে। আইসিটি ডিভিশনের পক্ষ থেকে সাইবার সিকিউরিটি আইন প্রণয়নণর উদ্যোগ নিয়েছি। এ আইনের খসড়া ইতোমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিশিষ্ট আইনজীবী, সুশীল সমাজের সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।’

সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন বলেন, ‘২০০৬ সালে এ আইন করা হয়েছে। তখন তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ছিল একরকম, এখন তা বেড়েছে বহুগুণে। তথ্যপ্রযুক্তির যেমন ইতিবাচক দিক রয়েছে, তেমনি নেতিবাচক দিকও রয়েছে। মত প্রকাশের নামে যা ইচ্ছা তাই করা হচ্ছে।’

সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরায়েজী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন আমাদের স্বীকার করতে হবে। এ দেশে শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মুসলিম। অতএব এমনভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে যাতে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে।’
আর্টিকেল ১৯ এর বাংলাদেশ এ্যান্ড সাউথ এশিয়ার পরিচালক তাহমিনা রহমানের পরিচালনায় আলোচনায় আরও অংশ নেন আর্টিকেল ১৯ এর নির্বাহী পরিচালক থমাস হুগস, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জিআই খান পান্না, সুপ্রীম কোর্টের এ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, আইন কমিশনের সদস্য ড. শাহা আলম, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, গাজী টিভির নিউজ এডিটর অঞ্জন রায় প্রমুখ।

‘আর্টিকেল ১৯’ বিশ্বব্যাপী বাক-স্বাধীনতা ও তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা পালন করে আসছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/নির্ঝর

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G