নরখাদকদের এলাকা!
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডটকম:
বিশ্বের সবচেয়ে বুনো এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চলগুলোর একটি হচ্ছে ‘ইরিয়ান জায়া’ । সেখানকার লোক সংখ্যা মাত্র ২০ লাখ। মানুষখেকো দ্বীপ নামে পরিচিত এই অঞ্চলে একসময় বারো মাসই জাতিগত সংঘর্ষ লেগে থাকতো। এই দ্বীপের বাসিন্দারা চুরি কিংবা হত্যার প্রতিশোধ নিতে প্রতিপক্ষদের খেয়ে ফেলতো। যারা মানুষের মাংস খেতো তারা বিশ্বাস করতো শত্রুকে খেয়ে ফেললে তার শক্তি নিজেদের ভেতরে সঞ্চারিত হয়!
ইরিয়ান জায়াতে উপজাতির মধ্যে অন্যতম হলো ‘ইয়ালি উপজাতি’। ষাটের দশকের প্রথম দিকে ইয়ালি উপজাতিরা তাদের বন্দীদের ধরে ধরে পুড়িয়ে খেতো। তবে এখন এ ধরণের দ্বন্দ্ব আইন দ্বারা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। ১৯৬০ সালে এই দুর্গম দ্বীপটির পশ্চিমাংশ দখল করে নেয় ইন্দোনেশিয়া। এই দ্বীপের নাম দেয়া হয় ইরিয়ান জায়া। যার অর্থ ‘বিজয়ী উষ্ণ ভূমি।’
আগে যখন মিশনারিরা উড়োজাহাজ নিয়ে এদের গ্রামে আসতো, তারা সবাই ভয়ে পালাতো। এমনকি উড়োজাহাজের শব্দ শুনলেই সেখানকার লোকজন তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে গহিন অরণ্যে পালিয়ে যেতো। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে ইরিয়ান জায়ায় অভিযাত্রী, মিশনারি, সৈনিক, শিক্ষক, প্রসপেক্টরদের এতো বেশি আনাগোনা বেড়ে গেছে যে, সেখানকার অধিবাসীরা আগের মতো এখন আর উড়োজাহাজের শব্দে আঁতকে ওঠে না। তবে প্রকৃতিগত দিক থেকে ইরিয়ান জায়া আগে যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে।
এটি এমনই একটি দ্বীপ যেখানে গেলে মনে হবে অতি প্রাচীন প্রস্তর যুগ যেন এখনও থেমে আছে। হারিয়ে যাওয়া আদি পৃথিবীর মতো এ দ্বীপের অদিবাসীরা মূলত বৃক্ষচারী। বিশাল গাছের উঁচুতে ঘর বেঁধে বসবাস করে এরা। এখানকার প্রাচীন অধিবাসীদের বিরুদ্ধে এখনও নরমাংস ভক্ষণের অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/পাভেল