চট্টগ্রাম বন্দরে বিশেষ নজরদারিতে সব পণ্য
চট্টগ্রাম বন্দরে বলিভিয়া থেকে আসা ভোজ্যতেলের কন্টেইনারে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার পর দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসা সব পণ্য বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
সোমবার দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এই কথা জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তবে ভোজ্যতেলে কোকেনের অস্তিত্ব পাওয়ার পর এখনো কোনো মামলা দায়ের করেনি শুল্কে গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষায় বলিভিয়া থেকে আসা একটি ভোজ্যতেলের কন্টেইনারে কোকেনের অস্তিত্ব থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। কিন্তু এর সঙ্গে কারা জড়িত তা এখনো পুরোপুরি নিশ্চত হওয়া যায়নি। তাই মামলা করা হয়নি।
মইনুল খান প্রতিক্ষণকে বলেন, এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের সম্পৃক্ততা রয়েছে। এই চালান আমদানি থেকে শুরু করে খালাস পর্যন্ত কারা জড়িত বিষয়টি নিশ্চিত হতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই মামলা দায়ের করা হবে।
মামলা দায়ের করার ক্ষেত্রে তথ্যের ঘাটতি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এখনো নিশ্চিত নই যে কী পরিমাণ কোকেন রয়েছে। তবে ধারণা করছি কন্টেইনারে থাকা ৯৬ নম্বর ড্রামের ১৮৫ কেজি ভোজ্যতেলের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ তরল কোকেন।
কী পরিমাণ কোকেন রয়েছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে আসা হচ্ছে জানিয়ে মইনুল খান বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া মাদকের বিষয়ে জাতিসংঘের নির্ধারিত বিভাগ রয়েছে। জাতিসংঘকেও অনুরোধ করা হয়েছে বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানোর জন্য।
সানফ্লাওয়ার অয়েল ঘোষণা দিয়ে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ বলিভিয়া থেকে কন্টেইনারটি আমদানি করে চট্টগ্রামের খান জাহান আলী লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিক্ষণ/এডি/ফাহিম