ছিটমহল ইস্যুতে বৈঠক বিকেলে

প্রকাশঃ জুলাই ২০, ২০১৫ সময়ঃ ১:১৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:১১ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক

ছিটমহলবাংলাদেশ ও ভারতের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২টি ছিটমহলের জনগণনা শেষ হয়েছে। এতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১ ছিটের ৩৭ হাজার ৩৬৯ জনের মধ্যে মাত্র এক হাজার ১৬৭ জন ভারতে ফিরতে চেয়েছেন। এ বিষয়ে বৈঠকে বসবে দুই দেশের প্রতিনিধি দল। সোমবার বিকেল ৩টায় ভারতের চেংরাবান্ধায় এ বৈঠক বসবে।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির সহ-সম্পাদক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত জানিয়েছেন ।জনগণনায় ৯৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ ছিটমহলবাসী অংশ নিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জনগণনা শেষে দীপ্তিমান সেনগুপ্ত গণমাধ্যমকে জানান, সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে ভারতের অভ্যন্তরে থাকা ৫১টি ছিটমহলের ১৪ হাজার ২১৫ জন বাংলাদেশির মধ্যে কেউই দেশে ফিরে যেতে আবেদন করেননি। অন্যদিকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলের ৩৭ হাজার ৩৬৯ জন ছিটমহলবাসীর মধ্যে মাত্র এক হাজার ১৬৭ জন ভারতে ফিরতে চেয়েছেন।

গত ৬ জুলাই এ জনগণনার কাজ শুরু হয়। এ কাজে অংশ নেয় উভয় দেশের ৭৫টি যৌথ কমিটি। এর মধ্যে ২৫টি কমিটি কাজ করে ভারতের ভেতরে থাকা ৫১টি বাংলাদেশি ছিটমহলে। বাকি ৫০টি কমিটি কাজ করে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ১১১টি ভারতীয় ছিটমহলে।

আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাতে উভয়দেশের ১৬২টি ছিটমহল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে। এর ফলে ভারতের ভেতরে থাকা বাংলাদেশি ছিটমহলের মালিকানা চলে আসবে ভারত সরকারের হাতে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতীয় ছিটমহলের মালিকানা চলে যাবে বাংলাদেশ সরকারের হাতে।

২০১১ সালে দুই দেশের জনগণনা অনুযায়ী সব ছিটমহলবাসী এবং সেইসঙ্গে ওই জনগণনার পর যেসব শিশুর জন্ম হয়েছে তারাও বাংলাদেশ এবং ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে।

তবে যেসব ছিটমহলবাসী ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে ফিরে যেতে চান না তাদের ৬ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত দুই দেশের যৌথ জরিপকালে দুটি ফরম পূরণ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যেতে ইচ্ছুক ছিটমহলবাসীদের প্রয়োজনীয় ট্রাভেল পাস ইস্যু করা হবে।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G