সাকার বিচারঃ বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে

প্রকাশঃ জুলাই ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৩৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

mahbubমানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) বিচার কার্যক্রম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। এমনটাই বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম। রোববার বেলা দুইটার দিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে  তিনি এই মন্তব্য করেন।

এর আগে একটি জাতীয় দৈনিকের সংবাদে বলা হয়, সাকার বিচারের রায় নিয়ে আলোচনার জন্য কোনো এক বিচারপতি সাকার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। এর সূত্র ধরে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় নিয়ে কোন বিচারপতি তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এ রকম খবর আমি বিশ্বাসই করি না। গুজবের ওপর ভিত্তি করে কোনো রিপোর্ট হতে পারে না। এ ধরনের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে প্রধান বিচারপতির অফিস কোনো প্রতিবাদ পাঠাতে পারে না।

অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, বিচার বিভাগকে নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করাই এর লক্ষ্য এটা কারো কাম্য নয়। এ ধরনের লেখা বিচারিক কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অনেক সময় ক্ষতি হয় শত্রুর দ্বারা, আবার অনেক সময় ক্ষতি হয় অতি উৎসাহী বন্ধুর দ্বারা।

সাকার আপিলের মামলায় আসামিপক্ষ এবং রাষ্ট্রপক্ষ লিখিতভাবে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেছেন বলেও তিনি যোগ করেন। সাক্ষীদের সাক্ষের ওপর ভিত্তি করে আদালত এ মামলায় রায় দেবে।

saতিনি বলেন, আদালত সাকাকে চারটি অভিযোগে ফাঁসির রায় দিয়েছেন এবং সে রায় সঠিক। আরো যে পাঁচ অভিযোগে তাকে বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তার মধ্যে ২/৩ টিতে ফাঁসি হতে পারতো। যেহেতু আমরা সে সকল বিষয়ে আপিল করি নাই। সেহেতু এ ধরনের আশা করি না। তিনি আরো বলেন, সাকার অপরাধের পরিমাণ এতো বেশি যে ট্রাইব্যুনাল তাকে যে দণ্ড দিয়েছে সেগুলো বহাল থাকবে।

সুষ্ঠু সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এ ধরনের স্পর্শকাতর মামলা নিয়ে কলাম লেখা উচিত নয় বলে অ্যাটর্নি জেনারেল মন্তব্য করেন। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হয়। তিনি বলেন, আমি কোন দিনই বিশ্বাস করতে পারি না যে সাকার মামলার রায় নিয়ে এ ধরনের বৈঠক হতে পারে।

তিনি জানান যে তিনি ৩০ বছর ধরে আপিল বিভাগের বিচারপতিদের জানেন। তাদের সততা দক্ষতা ন্যায় পরায়ণতা নিয়ে তার ধারণা আছে। তারা সকলেই দৃঢ় চরিত্রের অধিকারী। তাদের ক্ষেত্রে এ ধরনের বক্তব্য বিশ্বাস যোগ্য নয়।
তাহলে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় পত্রিকার বিরদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা  সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ব্যবস্থা নিতে হবে আমি এ রকম আশা করি না।

একই সঙ্গে মুজাহিদের রায় নিয়ে রাষ্ট্রের এই প্রধান আইনজীবী বলেন, অচিরেই মুজাহিদের রায় পাবো। অর্থাৎ আগামী দুই তিন সপ্তাহের মধ্যে মুজাহিদের রায় প্রকাশ হতে পারে। এটা আমার অনুমান। যেহেতু এবার আপিলের রায় ঐক্যমতের ভিত্তিতে হয়েছে সেহেতু একজন বিচারক রায় লিখবেন। অন্য বিচারপতিদের এখানে ভিন্ন মত পোষণ করে রায় দেয়ার সুযোগ নাই।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G