প্রতিদ্বন্দিতামূলক নির্বাচন চায় ২০ দল

প্রকাশঃ আগস্ট ১৩, ২০১৫ সময়ঃ ৩:৪০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৩:৪২ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

20দেশে চলমান গুম, খুন, মামলা, দখলের রাজনীতি বন্ধ, জনগণের মৌলিক মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক সংকট মুক্তি আজ সময়ের দাবি বলেছেন,বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ।

২০ দল মনে করে, জনগণের নির্বাচিত এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকারই শুধু তা নিশ্চিত করতে পারে। এ কারণেই নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দিতামূলক নির্বাচন চায় ২০ দল।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের বেঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আলোচ্য বিষয়ের বর্ণনা দিতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের জনগণ নির্দলীয় সরকারের অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্ত সরকার সীমাহীন দমন-পীড়ন চালিয়ে জনগণের আকাঙ্খাকে ব্যর্থ করে দেয়ার অপচেষ্টা চলছে। তাদের এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা।

২০ দলীয় জোটের ভাঙ্গনের এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, টানা ৩ মাস বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেজন্য দীর্ঘদিন ২০ দলীয় জোটের বৈঠক হয়নি। তবে ২০ দলের শীর্ষ নেতাদের মধে যোগাযোগ ছিল। তাই সরকার শত চেষ্টা করেও জোট ভাঙ্গতে পারেনি আর পারবেওনা। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা ২০ দলীয় জোটের কোন দলকে নিতে পারেনি এবং ২০ দলের কোন শীর্ষ নেতাকেও জোট থেকে নিতে পারেনি। জোট অটুট অক্ষুন্ন রয়েছে, থাকবে। অবশ্যই আন্দোলনের সংগ্রামে রয়েছি এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে চাই।

আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা যখনই কোন সভা সমাবেশ মানববন্ধন করতে চাই তখন আমাদেরকে অস্ত্রধারী সরকারী বাহিনীর মোকাবেলা করতে হয়। আমরা যদি সেটা চালিয়ে যেতে চাই তাহলে আমাদের তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে নামতে হবে। আমরা বরাবরই বলেছি আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাই। তাই আমাদেরকে জনগণের কাছে ফিরে আসতে হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কর্ম পরিষদ সদস্য মো: আমিনুল ইসলাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম এম আমিনুল রহমান, বিজিপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল মতিন সাঈদ, এনপিপির মহাসচিব মুস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব বাবু রহমান কৃষ্ণ সাহা, ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ প্রমুখ।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G