লতিফের রিট আবেদন খারিজ

প্রকাশঃ আগস্ট ২০, ২০১৫ সময়ঃ ১২:৫৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:২৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষন ডেস্ক

lotifলতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ লতিফ সিদ্দিকীর আবেদন খারিজ করেন।

এর আগে বুধবার আদালতে লতিফের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম।

রিট আবেদনকারী মো. ইউনুস আলী আকন্দ আদালতে নিজেই শুনানি করেন। ২৭ নভেম্বর দায়ের করা
তার এই আবেদনে বলা হয়, ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে সংসদ সদস্য হতে হলে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সদস্য হতে হবে বা স্বতন্ত্র হিসেবে থাকতে হবে। লতিফ সিদ্দিকী দুটির একটির মধ্যেও পড়েন না।

লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে রিট আবেদনটি গত ১৬ আগস্ট রোববার বিকালে হাইকোর্টের শাখায় দাখিল করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। এর আগে ওই বেঞ্চ থেকে রিট আবেদনটি দায়েরের অনুমতি নেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সেদিন জানান, পার্লামেন্ট মেম্বরস (ডিটারমিনেশন অবডিসপুটস) অ্যাক্ট ১৯৮০-তে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংবিধানের ৬৬(৪) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে, সংসদ সদস্যদের ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ে কোনো বিবাদ আসলে নির্বাচন কমিশন তা নিষ্পত্তি করতে পারবেন।
তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সাংসদ নির্বাচিত হলেও এখন তিনি দলে নেই। তাই সংবিধান অনুযায়ী তার সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকতে পারে না বলে আবেদনে দাবি করেন এই আইনজীবী।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, তিনি হজ্জ ও তাবলিগ জামাতের ঘোরবিরোধী। এতে শ্রমশক্তি ও অর্থের অপচয় হয়। ওই বক্তব্যের জেরে তুমুল সমালোচনা শুরু হলে অন্তত দুই ডজন মামলা হয় টাঙ্গাইলের এই সংসদ সদস্যের নামে।
এরপর লতিফকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করার পাশাপাশি আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রায় ২ মাস পর দেশে ফিরে ২৫ নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি থানায় আত্মসমর্পণ করেন লতিফ। পরে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
দল থেকে বাদ পড়ায় লতিফ সংসদ সদস্য পদে থাকতে পারবেন কিনা এ বিতর্কের মধ্যে সংসদের প্রধান হুইপ আ স ম ফিরোজ এর আগে জানিয়েছিলেন, বিদ্যমান আইন অনুযায়ী ‘ফ্লোর ক্রসিংয়ে’ না পড়ায় লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য পদে থাকায় সমস্যা নেই।

 

 

প্রতিক্ষন/এডমি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G