পোশাকে বাটিক প্রিন্টের নকশা
ফারজানা ওয়াহিদ
বাটিকের পোশাকের জনপ্রিয়তা আমাদের দেশে অনেক আগে থেকেই ছিল। মাঝে বেশ কিছুদিন এই ফ্যাশনের ঝোঁক কম থাকলেও ঘুরে ফিরে আবার এসেছে টাইডাই, বাটিকের ফ্যাশন।
বাটিকের পোশাক গুলো গরমে বেশ আরামদায়ক। সালোয়ার-কামিজ, কুর্তা, টপস, স্কার্ট, শাড়িতে তো আছেই, এমনকি ব্যাগ, স্যান্ডেলের কাপড়েও দেখা যাচ্ছে টাইডাই নকশা।
অনেকে বাটিকের সাধারণ নকশার ভেতরেই ফুটিয়ে তুলছে নিজস্ব সৃষ্টিশীলতা। কয়েক স্তরের একটু ঘেরওয়ালা টাইডাইয়ের স্কার্ট, জিপসি স্কার্টের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় কাটের টপস আপনাকে স্টাইলিশ করে তুলবে। হাতার ক্ষেত্রে গরমে হাতাকাটা, ঘটি হাতা, খাটো হাতার চল তো রয়েছেই।
ভিন্ন আঙ্গিকে চায়নিজ ম্যাগি হাতা, ডিভাইডার হাতা, চুড়িদার হাতাকে উপস্থাপন করতে পারেন। গলায়-হাতায় লেইস বা পাইপিং ব্যবহার করা যেতে পারে। এসবের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ওড়না, সালোয়ার বা স্কার্ট বেছে নিতে পারেন।
টপস বা কুর্তার হেম কিছুটা চাপা, জিগজ্যাগ বা কোনা বের করে দেওয়ার ফ্যাশন এখন চলছে। কোনার দিকে নূপুরের ঝুনঝুনি বা ছোট পুঁতি ব্যবহার করতে পারেন।
টপসের কোমরের দিকে একই কাপড় দিয়ে বেল্টের মতো করে নকশা করলে একটু আলাদা হবে আপনার পোশাকটি। গলার কাছে ফিতা নকশা, নকশিকাঁথা ব্যবহার করতে পারেন। সুতি কাপড় টাইডাই বা বাটিকের জন্য বেশ উপযোগী।
টাইডাইয়ে সহজে নানা রঙ ব্যবহার করা যায়। নকশার মধ্যেও বৈচিত্র্য আনা যায়। বাটিকের মধ্যে সাধারণত ফুল, লতাপাতা নকশা ব্যবহার করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে চুন্দ্রি প্রিন্টও করা হয়ে থাকে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে