৪ দিনে মারা গেছে ৬০,০০০ অ্যান্টিলোপ

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৫ সময়ঃ ২:১৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৮ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

antelopকাজাখস্তানের বিশাল চারণভূমিতে গেলে সবচেয়ে বেশি চোখে পরে অ্যান্টিলোপ। বিশাল আকৃতির এই হরিণগুলোপ প্রাণী বিজ্ঞানীদের কাছে সত্যিই দারুণ প্রিয়। তবে এখনও কাজাখস্তানের চারণভূমিতে গেলে তাদের দেখা পাওয়া যায়, তবে জীবিত নয় মৃত। এক অজানা কারণে এই চারণভূমি অ্যান্টিলোপের শ্মশানে পরিণত হয়েছে। মাত্র ৪ দিনে মারা গেছে ৬০,০০০ অ্যান্টিলোপ।

গত মে মাস থেকেই এরা মারা যেতে থাকে। কিন্তু তা প্রাণী বিজ্ঞানীদের সাবধান করার জন্যে যথেষ্ট ছিল না। ভেটেরানিয়ান এবং প্রাণী সংরক্ষণ সংস্থাগুলো এক সময় থেকে ঘাম ছুটিয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। জুনের প্রথম দিকে যা ঘটার তা চোখের সামনেই ঘটে গেছে। একটি নয়, দুটি নয়; এমনকি কয়েক হাজারো নয়। অর্ধ লক্ষের বেশি হরিণগুলো স্রেফ মরে গেলো।

২০১৪ সালের হিসেবে দেশটিতে ২ লাখ ৫৭ হাজার অ্যান্টিলোপ রয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে গণ হারে মারা গেলো নিরামিষভোজী প্রাণীগুলো। এর পেছনে ব্যাকটেরিয়ার দায় রয়েছে বলে মনে করছেন জুথার। কিন্তু এই জীবাণু কতটুকু শক্তিশালী হতে পারে যে এই বিশাল প্রাণীগুলোর প্রায় অস্তিত্ব বিলীন করে দিয়েছে?

জুথার জানান, এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। ইকোসিস্টেমে সাইগাদের ভূমিকা অনেক। এমন চারণভূমিতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা উদ্ভিদগুলোকে মৃতপ্রায় করে দেয়। কিন্তু অ্যান্টিলোপ এদের অর্গানিক উপাদান নিঃসরণে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করে। এ অঞ্চলে অ্যান্টিলোপই পুষ্টি উপাদান পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণের কাজটি করে থাকে। দাবানল প্রতিরোধে এরাই মূল কাজটি করে। এ ছাড়া এখানকার মাংসাশি প্রাণী ও মানুষের জন্যে আমিষের উৎস এরাই।antelop 2

জুথার লাইভ সায়েন্সকে জানান, যে অঞ্চলে সাইগা দেখবেন, বুঝে নিতে হবে, এখানকার প্রাণী ও মানুষের আমিষ বা পুষ্টির অভাব নেই।

অ্যান্টলোপগুলো মূলত কাজাখস্তান, রাশিয়া এবং মঙ্গোলিয়ায় বাস করে। শরৎ এবং বসন্তে এরা কাজাখস্তানে মাইগ্রেট করে। বিজ্ঞানীরা এ অঞ্চলে অ্যান্টিলোপের খাবার, এদের দেহে যে সব কীট বসে তাদের নমুনা এবং অন্যান্য নমুনা পরীক্ষার জন্যে সংগ্রহ করেছেন। যে শাবকগুলো এখনো নিরামিষভোজী হয়নি, কেবল দুধ খাচ্ছে তারাও মারা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, মায়ের দুধের মাধ্যমে জীবাণু তাদের দেহেও সংক্রমিত হয়েছে।

টিস্যুর নমুনায় এক ধরনের বিষাক্ত উপাদান পাওয়া গেছে যা সাধারণত পাস্টুরেলা এবং ক্লসট্রিডিয়া নামের ব্যাকটেরিয়ার কারণে ঘটে থাকে। তারপরও এরা এমন ভয়ংকর জীবাণু নয় যে এমন হত্যাযজ্ঞ চালাবে। তবে এদের ধরন, আক্রমণের ভিন্নতা এবং রোগের ওপর নির্ভর করছে।

যেটাই ঘটে থাক, বিষয়টি নিয়ে হন্যে হয়ে ছুটছেন গবেষকরা। এতগুলো অ্যান্টিলোপের মৃত্যু এ অঞ্চলের পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্যে যথেষ্ট। সূত্র : লাইভ সায়েন্স
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G