চোখের সৌন্দর্যে কন্ট্যাক্ট লেন্স
ফারজানা ওয়াহিদ
মুখের সৌন্দর্যে অনেকটা অংশ জুড়ে আছে চোখ। পুরুষের কাছে নারীর চোখ কখনো সাগর, কখনো আকাশ, কখনো বর্ষার দীঘি, কখনো কাজল কালো মেঘ, কখনো পাখির নীড়। সেই চোখকে কি কেউ চায় চশমার শৃঙ্খলে আড়াল করতে? চোখের দৃষ্টিশক্তি কমতেই পারে, সেটা খুবই স্বাভাবিক। শুধু দৃষ্টিশক্তির জন্য নয় ফ্যাশনেও লেন্স ব্যবহার করা হয় আজকাল।
মানুষের সৌন্দর্যে মঙ্গল আর বিকাশে বিজ্ঞান নিরন্তর কাজ করে চলেছে। মানুষকে মুক্তি দিয়েছে নানারকম বাধা আর প্রতিবন্ধকতা থেকে। ঠিক তেমনি চশমার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি দিতে বিজ্ঞানের নতুনতর সৃষ্টি কন্ট্যাক্ট লেন্স। এই সৃষ্টির মূল উদ্দেশ্য দু’টি। চোখের প্রয়োজনীয় দৃষ্টি বাড়ানো, সেই সাথে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি। সারা বিশ্বে তাই আজ চশমার বদলে কন্ট্যাক্ট লেন্সের ব্যবহারই বেশি।
চোখ শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয় বরং অভিব্যক্তিও প্রকাশ করে। চশমা সেটাকে প্রায় ঢেকে ফেলে। আর বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকেও চশমা একেবারে নিখুঁত নয়। চোখ থেকে প্রায় দেড় সেন্টিমিটার দূরে এর অবস্থান। যারা খুব পুরু চশমা পরেন তারা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বড় বা ছোট দেখে থাকেন।
কন্ট্যাক্ট লেন্স আসার পর থেকে মানুষ এটা নিয়েও ফ্যাশনেবল হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পোশাকের সাথে মিল করে লেন্স ব্যবহার করছে।
লেন্স কেনার সময়, সব সময়ই দ্বিধায় থাকতে হয় কোন কালারের লেন্স কিনব, লেন্স টা মানাবে কিনা , গায়ের রঙ এর সাথে মিলবে কিনা, চোখের সাজ অথবা পার্টি মেকআপের সাথে মিলবে কিনা।
বাঙালি মেয়েদের সব চেয়ে বেশি মানায় “গ্রে” কালারের লেন্সে। তাছাড়া এখন অনেক বেশি চলছে নীল কালারের লেন্স। পাওয়ার লেন্স ছাড়া অনেক তরুণীই এখন লেন্স পরছে।
এটি এমন একটি লেন্স, যা চশমার ফ্রেমে না বসিয়ে সরাসরি চোখের কর্নিয়া বা কালো পর্দার ওপর বসানো হয়। চোখের অনুভূতিতে এর উপস্থিতি কোনো সমস্যা তৈরি করে না। যেহেতু লেন্সটি সরাসরি চোখের কন্ট্যাক্টে থাকে তাই এটি কন্ট্যাক্ট লেন্স।
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি চলে ফ্রেশ লুক এবং ফ্যাশনের লেন্স। ফ্রেশ লুক লেন্স সল্যুশন সহ দাম পড়বে ১৩০০-১৫০০ আর ফ্যাশনের দাম পড়বে সল্যুশন সহ ১১০০। ফ্রেশ লুক যেকোনো চশমার দোকান, আলমাস, প্রিয়তে পাবেন। ফ্যাশান পাবেন শুধু ফ্যাশানের আউটলেটে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে