অভিনব শাস্তি বই পড়া

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৫ সময়ঃ ১:৫০ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৫০ অপরাহ্ণ

নিজেস্ব প্রতিবেদক

boiইরানে এক অভিনব শাস্তি চালু করেছেন পূর্বাঞ্চলীয় গোনবাদ–ই-কাবুস শহরের বিচারক কাসেম নাকিজাদেহ। অপরাধীদের কারাগারে আটকে রাখার বদলে তিনি তাদের বাধ্যতামূলকভাবে  বই কেনা ও পড়ার শাস্তি দিতে শুরু করেছেন।

সম্প্রতি তিনি নিয়ম করেছেন, তার আদালতে আসা অপরাধীদের পাঁচটি করে বই কিনতে হবে। শুধু কিনলেই হবে না, অপরাধী সেগুলো ভালোভাবে পড়েছেন কিনা সেটিও পরীক্ষা করে দেখা হবে।

প্রমাণ হিসেবে বই গুলি সম্পর্কে সংক্ষেপে লিখে তা বিচারকের এজলাসে জমাও দিতে হবে। সেই লেখায় আবার হাদিস থেকে  কিছু শিক্ষণীয় বানীও উল্লেখ থাকতে হবে। পড়া শেষে বইগুলো আবার স্থানীয় কারাগারে দান করতে হবে।

বিচারক কাশেম নাকিজাদেহ বলেন, ‘অপরাধীদের কারাগারে আটকে রাখার ফলে তাদের নিজেরদের এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর বিরাট শারীরিক ও মানসিক প্রভাব পড়ে।’  কিন্তু বই পড়ার এই শাস্তি অপরাধীদের মানসিকভাবে উন্নত করবে। হাদিস পড়ার কারণে তাদের মধ্যে ধর্মীয় ভাবও জাগ্রত হবে। ফলে তাদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে।

মূলত এই শাস্তি প্রথমবারের অপরাধ, লঘু অপরাধ ও অল্পবয়সীদের উপরই প্রয়োগ করছেন বিচারক  নাকিজাদেহ। চিহ্নিত অপরাধীদের ক্ষেত্রে নয়। বই নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাজাপ্রাপ্তদের বয়স, শিক্ষার মান ও জ্ঞানের বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। তবে সাজাপ্রাপ্তদের সাধারণত সহজ ভাষায় লেখা বিজ্ঞানভিত্তিক বই কিনতেই উৎসাহিত করা হচ্ছে, যাতে করে সকলেই উপকৃত হতে পারেন। পড়া শেষে কারাগারে দান করা বইগুলোও কাজে আসবে। কেননা বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হলে কারাবন্দীরা ঝগড়া বিবাদে জড়ানোর সুযোগই পাবে না।

ইরানে সম্প্রতি নতুন একটি আইনের আওতায়, বিচারকরা প্রচলিত শাস্তির বাইরেও নিজেদের প্রজ্ঞা খাটিয়ে অপরাধীদের বিকল্প সাজার আওতায় আনতে পারছেন, যেমনটি পেরেছেন বিচারক নাকিজাদেহ।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G