ঘুরে আসুন ভালোবাসার “দূর্গাসাগর দীঘি”

প্রকাশঃ সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৫ সময়ঃ ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

durga sagor 2চন্দ্রদ্বীপ রাজ্যের পঞ্চদশ রাজা ছিলেন শিব নারায়ন রায় । বাংলায় বারো ভূইয়ার একজন ছিলেন তিনি । স্ত্রী দূর্গাবতীর প্রতি ভালোবাসার গভীরতা প্রমানের জন্য তিনি রাজকোষ থেকে ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি দীঘি খনন করান। কথিত আছে, রানী দূর্গাবতী একবাওে যতোদূর হাঁটতে পেরেছিলেন ততোখানি জায়গা নিয়ে এ দীঘি খনন করা হয়েছে। জনশ্রুতি অনুযায়ী, এক রাতে রানী প্রায় ৬১ কানি জমি হেঁটেছিলেন । রানী দূর্গাবতীর নামেই দীঘিটির নাম করন করা হয় “দূর্গাসাগর দীঘি।”

সরকারী হিসাব অনুযায়ী দীঘিটি ৪৫ একর ৪২ শতাংশ জমিতে অবস্থিত। এর ২৭ একর ৩৮ শতাংশ জলাশয় এবং ১৮ একর ৪শতাংশ পাড় । পাড়টি উওর- দক্ষিনে লম্বা ১৪৯০ফুট এবংপ্রশস্ত পূর্ব পশ্চিমে ১৩৬০ ফুট। durga sagor

কালের বিবর্তন ধারায় ৪০০বছরের প্রাচীন দীঘিটি তার ঔজ্জ্বল্য কিছুটা হারিয়েছে, এ কথা সত্যি তবে প্রতি শীত মৌসুমের শুরুতে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এখানে নানান প্রজাতির পাখি আসে । সরাইল ও বালিহাঁস সহ নানান প্রজাতির পাখি দীঘির মাঝখানে ঢিবিতে আশ্রয় নেয় । সাঁতার কাটে দীঘির স্বচ্ছ, স্ফটিক পানিতে । কখনো বা হালকা শীতের গড়ানো দুপুওে ঝাকঁ বেঁধে ডানা মেলে দেয় আকাশে । কালে কালে দীঘিটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় ইংরেজ শাসনামলে তৎকালীন জেলা বোর্ড ১২ হাজার টাকা ব্যয়ে এটির সংস্কার করে ।

দীঘির মাঝামাজি স্থানে অবকাশ যাপন কেন্দ্র নির্মানের জন্য মাটির ঢিবি তৈরি করা হয় । দীঘির চারপাশে নারিকেল ,সুপারি, শিশু, মেহগনি প্রভৃতি বৃক্ষরোপন কওে সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলা হয় । যা বর্তমানে দীঘিটির মোভা বর্ধন করে চলছে। দিঘির চার পাশে চারটি সুদৃশ্য বাধানো ঘাট থাকলেও পূর্ব দক্ষিন পাশের ঘাট দুটির অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে । পশ্চিম পাড়ে ঘাট সংলগ্ন স্থানে রয়েছে জেলা পরিষদেও ডাক বাংলো । ইচ্ছা করলে ভ্রমনকারীরা এখানে রাত কাটাতে পারেন ।

প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G