ঈদে তারুণ্যের সাজ
সাজ আর উৎসব এক সুতোয় বাঁধা। ছোট-বড় সব উৎসবেই থাকে সাজ নিয়ে পূর্বপরিকল্পনা। সবাই চায় প্রতিবার একঘেয়ে না হয়ে একটু ভিন্নভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার। আর ঈদের সময় তো সাজ নিয়ে সবার মাঝে বাড়তি পরিকল্পনা লেগেই থাকে, বিশেষ করে তারুণ্যের অনুভূতি এখানে বেশি কাজ করে।
টিনএজ সাজের ক্ষেত্রে হেভি মেকআপ মানানসই নয়। তবে ঈদের দিন হালকা স্নিগ্ধ সাজে নিজেকে অসাধারণ রাখা যায়। চোখে হালকা আই শ্যাডো ও মাশকারা লাগালে ভালো লাগবে। তবে ভারী আইলাইনার ব্যবহার না করাই ভালো।
এই বয়সী মেয়েরা ডার্কার লিপ পেনসিল ব্যবহার করে, তারপর লিপস্টিক দিলে টিনএজ লুক থাকে না। চোখের ভেতরের দিকে লাইনার লাগবে না, এতে চোখ ছোট দেখাবে। ল্যাশ লাইন ফলো করে লাইনার লাগালে ভালো। তারপর তা ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে যেন চোখের ন্যাচারাল লুক বজায় থাকে।
টিনএজ মেকআপের ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন এড়িয়ে চলাই ভালো। যাদের মুখে ব্রণ আছে, তারা হয়তো এগুলো ঢাকতে ফাউন্ডেশনের প্রলেপ দিতে চাইবে। তবে একজন টিনএজ মেয়ে মেকআপে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে তার সহজাত সৌন্দর্য ঢাকা পড়ে যায়। সে ক্ষেত্রে লিকুইড টিন্ড ময়েশ্চার ব্যবহার করলে ফ্রেশ দেখাবে এবং টিনএজার লুকটাও বজায় থাকবে। তবে তাদের চুলের সাজটা বেশি করলে খারাপ লাগবে না।
কেউ ইচ্ছা করলে ঈদ উপলক্ষে ২-৪টি স্টিক হাইলাইটস করতে পারে। তবে অবশ্যই তা স্কিন টোনের সঙ্গে মানানসই হতে হবে। টিনএজ মেয়েদের ক্ষেত্রে লং লেয়ার বা ভি স্ট্রেট হেয়ার এবং তার সঙ্গে ব্যাংগসই মানানসই হবে। টিনএজ মেয়েদের জন্যও লং লেয়ার মানানসই হেয়ার কাট লম্বা চুলের ক্ষেত্রে। এটির ভালো দিক হচ্ছে এতে চুল ঘন দেখায়। কার্লি চুলের ক্ষেত্রে লেয়ার ম্যানেজেবল থাকে। ওয়েভি চুলে লেয়ার এনে দেয় সাধারণ আবেদন। ফ্যাশনেবল টিনএজ মেয়েরা তাদের হেয়ার স্টাইলে সিম্পল এবং কিউট লুকটাই ধরে রাখতে চায়। যেহেতু ঈদের সাজ তাই প্রথমত সতেজতা ও পরিচ্ছন্নতাই জরুরি সবার আগে!
প্রতিক্ষণ/এডি/এফজে