চবি প্রতিবেদক
প্রধান বিচারপ্রতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন,‘দেশের বিচার বিভাগ এখন সম্পূর্ণ স্বাধীন। ফোন কলে বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করার দিন ফুরিয়ে গেছে।
আজ দুপুরে ২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) নবনির্মিত আইন অনুষদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এভাবেই বিচার বিভাগের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন তিনি। এর আগে সকাল ১০টায় ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন বাংলাদেশে এই প্রথম কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন অনুষদের জন্য পৃথক ভবন নির্মাণ করা হল। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশের ভবিষ্যৎ আইনজীবীরা বেরিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন। উন্নত বিশ্বে সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশের আইনের শিক্ষার্থীরাও বহুদূর এগিয়ে যাবে।তারা দক্ষ মানবগোষ্টি তৈরীতে অবদান রাখবে।
শাসন ও গণতন্ত্র সুরক্ষায় আইনের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ সংসদ সদস্যই ব্যবসায়ী। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশে ৭০-৮০ ভাগ সংসদ সদস্য হিসেবে কাজ করছে আইনের মানুষরা। তাই এ শূণ্যস্থানগুলো পূরণে আইনের ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ফিসক্যাল ল’র ওপর গুরত্ব দিতে হবে। এছাড়া আয়কর বিভাগে যারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন তাদের হাইকোর্টে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হবে।
চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, একে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারি সালাউদ্দিন কাশেম খান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন চবি আইন অনুষদের প্রতিষ্ঠাতা ডিন ও বাংলাদেশ আইন অনুষদের সদস্য ড. এম শাহ আলম, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার সৈয়দ আমিনুল ইসলাম, চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরল হুদা, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, চবি আইন অনুষদের ডিন ফারক আবদুল্লাহসহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন,বহুদিনের স্বপ্নের প্রতিফলন,এটি স্বপ্নের চেয়ে বেশি।
সুন্দর দালান দেখতে ভাল লাগে।কিন্তু সুন্দর দালান দিয়ে ভালো আইনজীবী হওয়া যায় না। ভালো আইনজীবী হতে হলে বিবেক জাগ্রত করতে হবে। কেননা বিবেকই পারে মানুষকে শাসন করতে। তিনি বলেন, স্বার্থ নয়, সত্যের জন্য আইন। তাই ক্ষমতাহীনদের বঞ্চনার দিন শেষ করে তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পারে আইনের শাসন।শাসকগোষ্টিকে জবাবদিহিতা আনার সন্মুখীন পাওে আইন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে আইনের বিকল্প নেই। তিনি এ সময় এ.কে.খানের প্রতি গভীর শ্রদ্বা নিবেদন করেন। ছাত্রদের জন্য এ কে খানের জীবনী থেকে অনেককিছু শেখার আছে।
তিন মাসের মধ্যে আইন অনুষদের সামনে এ কে খানের প্রতিকৃতি সংবলিত জীবনী সম্পর্কে একটি ‘ডিসপ্লে বোর্ড’ নির্মাণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে