ভয়ঙ্কর সুন্দর রুপালি ড্র্যাগন !
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
দক্ষিণ চীনের হাংজৌ প্রদেশে প্রতিবছর সে এক অদ্ভুত প্রাকৃতিক দৃশ্য: কিয়ানতাং নদীতে আসে ‘রুপালি ড্র্যাগন’ নামধারী বান, যা দেখতে জড়ো হন হাজার হাজার কৌতূহলী৷ প্রকৃতির এই ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্যের কিছু ছবি ও গল্প থাকছে আজ পাঠকদের জন্য।
ড্র্যাগন আসছে!
হেমন্তের প্রথম পূর্ণিমায় আসে ‘রুপালি ড্র্যাগন’৷ প্রথমে দেখা যায় দিগন্তে একটা রেখা, পরে সেটা বাড়তে থাকে৷ তারপর শোনা যায় মেঘগর্জনের মতো আওয়াজ! ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতি নিয়ে মেলট্রেনের মতো আসতে থাকে কিয়ানতাং নদীর বান৷
বান দেখতে ভিড়
বান কত বড় বা উঁচু হবে, তা নির্ভর করে চাঁদের অবস্থিতি, বাতাস ও জলের তাপমাত্রার ওপর৷ বান ৯ মিটার অবধি উঁচু হতে পারে৷ বান দেখতে প্রতিবছর আসেন হাজার হাজার মানুষ৷
ভিজে একসা!
যারা বান দেখতে এসেছেন, তাঁদের ভিজতে হবে, কেননা বান আসে কুল ছাপিয়ে৷ শুধু পা ভেজালেই চলবে না, কাপড়চোপড় ভিজে একসা!
বান ডাকলে…
কোথায় নদী আর কোথায় কূল! মোটরসাইকেল, স্কুটার উল্টেপাল্টে, মানুষজনকে ভিজিয়ে আসে ‘রুপালি ড্র্যাগন’৷
প্রতিবছর রুপালি ড্র্যাগনের ল্যাজ ঝাপটানোয় বেশ কিছু মানুষ আহত হন৷ ঢেউ-এর ঝাপটা যে কোথায়, কখন, কার উপর এসে পড়বে, বলা শক্ত৷ ২০১৩ সালের ছবি৷
ঢেউ যখন আছড়ে পড়ে
এমনকি পুলিশও রেলিং আঁকড়ে প্রাণ বাঁচাতে আকুল! এ বছর দুজুয়ান ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে বান খুব উঁচু ছিল৷
বান কিংবা ‘বোর’
ইংরেজিতে নদীর বানকে বলে ‘বোর’৷ জোয়ার-ভাঁটায় পানির উচ্চতা যত বেশি হয়, ত-তই জোরালো হয় নদীর বান৷ তবে কিয়ানতাং নদীর ‘রুপলি ড্র্যাগনের’ মতো আর কিছু নেই, কেননা এখানে নদীবক্ষও অপেক্ষাকৃত সমতল৷ সব মিলিয়ে বান ডাকার সেরা জায়গা৷
সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে