বরিশাল ঋণী করেছে আর কুমিল্লা করেছে সম্মানিত!
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
প্রথম থেকে মনের ভেতর একটা কষ্ট এবং আফসোস ছিল শিল্পী আসিফের। নিজ শহর এবার বিপিএলে অংশ নিলেও তিনি তার সাথে কোনভাবেই জড়িত থাকতে পারছেন না। কিন্তু তার সেই কষ্ট দূর করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান’স। তিনিই গাইছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান’স এর থিম সং। এবিষয়ে তিনি তার ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের জন্য তা হুবুহু তুলে দেয়া হল।
ইতিহাস হাতড়ে নিজের সফলতা খুঁজতে কার না ইচ্ছে করে!! আমার তো ভালোই লাগে । পুরনো সাফল্যে নতুন ভাবে উৎসাহিত হই । কুমিল্লা জিলা স্কুল প্রথম ‘নির্মান স্কুল ক্রিকেট টূর্নামেন্ট’ চ্যাম্পিয়ন হয়,আমি ছিলাম অধিনায়ক। স্বাধীনতার পর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রথমবারের মত ইন্টার কলেজ চ্যাম্পিয়ন হয় চট্টগ্রামে,আমি ছিলাম অধিনায়ক।
পথিকৃৎ কুমিল্লার অলিগলিতে চষে বেড়ানো এক বাউন্ডুলে আমি। জন্মস্থানতো বটেই, আমার অস্তিত্বের প্রতিটি অনুতে অনুতে কুমিল্লার প্রতি আবেগের উদগীরন সবসময় হতেই থাকে। তার মধ্যে বরিশালের মানুষ আমাকে আপন করে নিয়েছে। বরিশাল বুল’স এর থিম সং গেয়েছি। এই দলের সমস্ত কর্মকান্ডের সাথে আমি জড়িত, তারা আমাকে ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডরও বানিয়ে ফেলেছে। সব ভালো লাগছে। তারপরও বুকের ভেতর চাপা কষ্ট আমার মানসিকতাকে এলোমেলো করে দিচ্ছিলো। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান’স খেলবে, আর আমি কুমিল্লার সন্তান হিসেবে সাইড লাইনেও সূযোগ পাবোনা, অনেক প্রাপ্তির পরও ‘ নিজভূমে পরবাসী’ কেইস।
‘গোমতী নদীর পাড়ে আমার সোনার কুমিল্লা, সেইখানেতে বাস করি হগ্গলে মিল্লা’। ইয়েস- আমি গাইছি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান’স এর থিম সং । যথাযোগ্য সম্মান দেখিয়েই ভিক্টোরিয়ান’স কর্তৃপক্ষ আমাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। আমি আনন্দিত,আবেগাপ্লুত, উত্তেজিত। বরিশাল বুল’স আমাকে ঋণী করেছে, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান’স করেছে সম্মানিত। আমার বন্ধু শামীম সিদ্দিকী বলে- ভালবাসার কোন বিকল্প নাই, প্রকল্প আছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে