সাবমেরিন ক্যাবল কি
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
সাবমেরিন কেবল বলতে একটি ভিন্নধর্মী টেলিযোগাযোগ মাধ্যম কে বুঝানো হয়। সাধারণ ভাবে আমরা জানি যে, রেডিও ট্রান্সমিশনে ইথারে ছুঁড়ে দেয়া তথ্য আয়নোস্ফিয়ারে ঠিকরে আবার আমাদের কাছে ফিরে আসে। এই পদ্ধতিতে রেডিওর মাধ্যমে খবর বা সংগীত সম্প্রচার সম্ভব হলেও বৈরী আবহাওয়ায় বা দূর্যোগকালীন সময়ে এমনকি আপদকালীন সময়েও অধিকতর তথ্য আদান প্রদানের জন্য দ্রুত মাধ্যম হিসাবে “তার” বা “টেলিগ্রাফ” পদ্ধতি অপেক্ষাকৃত বেশি উপযোগী।
স্বাভাবিক ভাবে একটি দেশ বা জনপদে টেলিগ্রাফ এর ব্যবস্থা সহজেই করা সম্ভব খুঁটি গেড়ে বা মাটির নিচে টানেল করে। কিন্তু, বিশাল দূরত্ব যেমন এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে সেখানে তো আর খুঁটি বসিয়ে নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে! সে কারণেই , এই কাজটি করবার জন্য সাগরের গভীরে তার বসিয়ে বা কেবল বসিয়ে বা ভাসিয়ে নেয়া হয়। বেশি গভীরতার সাথে তুলনা করতে গিয়েই ঐ গভীরতার যানবাহণ সাবমেরিনের সাথে মিল রেখে এই কেবলের নাম-ও হয়ে গেছে সাবমেরিন কেবল।
সাবমেরিন ক্যাবল কবে প্রথম ব্যবহার হয়?
প্রথম সাবমেরিন কেবল কিন্তু সাম্প্রতিক কোন ঘটনা নয়। সেই ১৮৫০ সালে প্রথম বাণিজ্যিক সাবমেরিন কেবল স্থাপন হয় এংলো ফ্রেন্চ টেলিগ্রাফ কোম্পানির তদারকিতে।
সেটিই প্রথম ব্রিটিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়া যান্ত্রিক যোগাযোগ মাধ্যম। ভারতীয় উপমহাদেশে ১৮৬৩ সালে সাবমেরিন কেবলের সাহায্যে সৌদি আরবের সাথে বোম্বের প্রথম যোগাযোগ স্থাপন হয়। এর ৭ বছর পর, লন্ডনের সাথে বোম্বের সরাসরি সংযোগ দেয়া হয়।
সাবমেরিন ক্যাবল কতটা দূর্বল বা সবল?
স্থিতিস্থাপকতা যে কোন তার বা পরিবাহকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, সেই সাথে সেটি কোন মাধ্যমে স্থাপিত হবে এবং মাধ্যম ভেদে তার স্বভাবজাত পরিবর্তনের সম্ভাবনা , সব মিলিয়ে সাবমেরিন কেবলের মত একটা চমকপ্রদ জিনিস ঠিক কি ভাবে বানানো হয় সেটা জানতে চাওয়ার আগ্রহ সবারই আছে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, প্রথম যে কেবলটি ব্রিটিশ চ্যানেল পাড়ি দেয় সেটি কেবল একটা গ্যাটা-পার্চায় মোড়ানো কপার তার ছিলো।
বিশেষ কোন অন্তরক বা ইনসুলেশন দেয়া ছাড়া! তবে কালের সাথে সাথে আমাদের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ঘটেছে এবংতাই এখনকার সাবমেরিন কেবলে মূলত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যবহার করা হয় । অপটিক্যাল ফাইবারের চার পাশে বেশ কয়েক স্তরে থাকে বেশ কয়েক ধরণের অন্তরক এবং নিরাপত্তা বর্ধক স্তর।
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ