কুনিও হত্যায় অপরাধীদের স্বীকারোক্তি

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৩, ২০১৫ সময়ঃ ২:০৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৫৮ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষন ডেস্ক

Hosi Kunioরংপুরে জাপানের নাগরিক হোশি কুনিও হত্যায় আটক তিনজন হত্যায় সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন।

 শুক্রবার সকাল ১০টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে র‌্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মাহবুব আলম এ তথ্য জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ওই তিনজনকে কুনিও হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটক করে র‌্যাব। পরে র‌্যাবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।

আটককৃতরা হলেন- রংপুর কোতোয়ালি থানার শালবন শাহীপাড়ার মোহাম্মদ হানিফের ছেলে রাজীব হোসেন সুমন ওরফে মেরিল সুমন, সেন্ট্রাল রোড জুম্মাপাড়ার আব্দুল লতিফের ছেলে নওশাদ হোসেন রুবেল ওরফে কালা রুবেল ও শালবন মহল্লার শ্রী বাবুল চন্দ্র বর্মনের ছেলে কাজল চন্দ্র বর্মন ওরফে ভরসা কাজল।

মাহবুব আলম জানান, বহিরাগত কয়েকজন যুবক চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা-বিদিরপুর ও সাতনইল মহল্লায় অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে অস্ত্রসহ তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তুল, একটি রিভলবার ও একটি ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

আটকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাপানের নাগরিক হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ওই হত্যাকাণ্ডের পর তারা রংপুর থেকে পালিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নয়াগোলায় অবস্থান করছিল বলে তারা স্বীকার করেছে।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর সকালে রংপুরের মাহিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন জাপানের নাগরিক হোশি কুনিও। দুর্বৃত্তদের তিনটি গুলি তার শরীরে লাগে। সেখান থেকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এক সপ্তাহ পর রংপুরেই কুনিওকে দাফন করা হয়।

রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ার জাকারিয়া বালার বাড়িতে ভাড়া থেকে কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের আলুটারি গ্রামে জাপানি কয়েল ঘাসের খামার করেছিলেন কুনিও। এর আগে এই হত্যা মামলায় হুমায়ুন কবির ওরফে হীরা ও রাশেদ-উন-নবী খান বিপ্লব নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G