আখের বাম্পার ফলন

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৩, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৩১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৩১ অপরাহ্ণ

akhআখের বাম্পার ফলন হয়েছে এবার গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায়। এই ফলন হওয়ার ফলে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক। বিগত বছরগুলোর তুলনায় চলতি অর্থ বছরে কালীগঞ্জে আখের ফলন খুব ভাল হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র। কয়েকটি এলাকা ঘুরেও মিলেছে এর সত্যতা।

উপজেলার বাহাদুরসাদী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের আখ চাষি মো. নাজিমউদ্দিন নাজু (৪০) জানান, তিনি গত বছর ২ বিঘা জমিতে আখের চাষ করেছিলেন। কিন্তু সেবার ফলন ভালো হয়নি তার। আর এবার তিনি ৪ বিঘা জমিতে আখ চাষ করেছেন।এবার ফলন খুব ভাল হয়েছে। তাই আখ বিক্রির বাড়তি আয় দিয়ে পারিবারিক অনটন কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মেন্দিপুর গ্রামের নির্মল দাস (৩৫) জানান, এবার তারও আখের ফলন ভালো। কিন্তু ভালো পাইকার না পাওয়াতে একটু সমস্যায় পড়েছেন। স্থানীয় পাইকাররা অন্য পাইকারদের তুলনায় অনেক কম দাম হাঁকায়। তাই আখ চাষিদের কাছে স্থানীয়দের চেয়ে দূরের পাইকাররাই বেশি অগ্রাধীকার পায়। কারণ, তারা স্থানীয়দের তুলনায় বেশি মূল্য দেয়। তবে পাইকারি বিক্রির চেয়ে খুচরা বিক্রি করতে পারলে কয়েকগুণ বেশি অর্থ ঘরে তোলা যায় বলে জানান তিনি।

কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া গ্রামের আখ চাষি আলফা মিয়া (৪৫) বলেন, ‘আমাদের বাপ-চাচাদের কাছে শুনেছি স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে এই এলাকায় ভালো আখ চাষ হতো। আখ চাষে মূলধন ফেরৎ না আসা এবং সঠিক মূল্য না পাওয়ায় বর্তমানে চাষিরা আখ চাষ থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।’

তিনি জানান, তারা প্রয়োজনীয় সরকারী যথাযথ সহায়তা পেলে হয়তো আবারো নতুন করে আখ চাষে উদ্যোগী হয়ে উঠবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম সহীদ নূর আকবর রাইজিং বিডিকে বলেন, ‘গত ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার দেড় হাজার টন আখ উৎপাদন হয়েছে। কিন্তু বর্তমান অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ আখ উৎপাদন হবে। ভাল দামে বিক্রি করতে পারলে চাষিরা হাসি মুখ নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।’

তিনি আরো জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে অতীতের মতো সব সময় আখ চাষীদের জন্য সকল প্রকার সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে। তা ছাড়া চাষিদেরকে আখ চাষে আরো বেশি আগ্রহী করার লক্ষ্যে সরকার সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G