ক্ষমতায় নব্য স্বৈরাচার : খালেদা জিয়া

প্রকাশঃ নভেম্বর ১৬, ২০১৫ সময়ঃ ৬:৪১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৬:৪১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

khaleda jiaআজ সোমবার মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এক বাণীতে বলেছেন, ‘আজ দেশে এক নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় বসে আছে। দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ধুলায় লুণ্ঠিত। মানুষের ভোটের অধিকার হরণকারী বর্তমান সরকার গায়ের জোরে তাদের অপশাসন বজায় রেখেছে। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া দেশ পরিচালনাকারী এ সরকারের শাসনামলে আজ শুধুই গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকারগুলোই বিপন্ন হয়ে পড়েনি-জাতীয় নিরাপত্তাও হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আগ্রাসী শক্তির আগ্রাসী হুমকির মুখে রয়েছে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। জাতির এই সংকটের মুহূর্তে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথই দেশের মানুষকে শক্তি ও সাহস জোগাবে- অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে এবং অপশাসন, অপরাজনীতিকে জনগণের ইচ্ছাধীনে পরাস্ত করতে।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকীর এক বাণীতে এসব কথা বলেন এবং তিনি ভাসানীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন

মওলানা ভাসানী জাতীয় স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা এবং দেশে জাতীয় সংকটে মুক্তির দিশারী ছিলেন উল্লেখ করে খালেদা জিয়া আরো বলেন, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ, উপনিবেশবাদ বিরোধী দীর্ঘ সংগ্রামে তিনি জীবদ্দশায় আপসহীন নেতৃত্ব দিয়েছেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত-নির্যাতিত কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মজলুম জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে শোষকের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন।

‘পাকিস্তানি গণবিরোধী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ভাসানি সম্মুখভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ৫০-এর দশকেই উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, স্বাধিকার এবং একপর্যায়ে স্বাধীনতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভাসানীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা উল্লেখ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আরো বলেন, দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মানুষের মৌলিক-মানবাধিকার যখন হুমকির সম্মুক্ষীণ হয় তখন মওলানা ভাসানী আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হন। তাঁর শেখানো পথ অনুসরণ করে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মানবতার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আমাদের চিরদিন সাহস জোগাবে।

এদিকে অপর এক বাণীতে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন আফ্রো-এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকার নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। তাঁর কণ্ঠে উচ্চারিত হতো বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি।

‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে আমাদের প্রেরণা জোগাবে, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে বলে আমি কায়মনোবাক্যে বিশ্বাস করি।’

আজকের দিনে মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে সব নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এ মুখপাত্র।
প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G