‘আইএস সমন্বয়কের’ বিচার শুরু ঢাকায়

প্রকাশঃ নভেম্বর ২৪, ২০১৫ সময়ঃ ২:৪৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৪৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

Dhakaআজ মঙ্গলবার ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ‘আইএসের সমন্বয়ক’ সাখাওয়াতুল কবিরসহ ঐ সংগঠনের চারজনের বিচারকার্য। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রুহুল আমিন এ অভিযোগ গঠন করেন। আর এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের বিচার শুরু হলো।

আজ সকালে অভিযোগ গঠনের শুনানি উপলক্ষে সাখাওয়াতুল কবিরসহ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ। পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) সাখাওয়াতকে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সমন্বয়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় সাখাওয়াতুল কবির ছাড়া বাকি তিন আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ২৬৫(সি) ধারা অনুযায়ী মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। বাকি তিন আসামি হলেন আনোয়ার হোসেন, মো. রবিউল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। আবেদনের ওপর শুনানি শেষে বিচারক তাঁদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে অভিযোগ গঠন করেন এবং আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত ১৫ অক্টোবর এ মামলায় সাখাওয়াতুল কবিরসহ চারজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করতে না পারায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অভিযোগ গঠন পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আজ মঙ্গলবার অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেন। গত ১৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পরিদর্শক এ কে এম কামরুল আহসান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ জব্দকৃত আলামত, সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রমাণিত হয়েছে যে উল্লিখিত আসামিরা বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সক্রিয় সদস্য। এক নম্বর আসামি সাখায়াতুল জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক। তিনি পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে জেএমবির পাশাপাশি আইএসআইএসের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা জেএমবি ও আইএসআইএসের মতাদর্শে উজ্জীবিত হয়ে পরস্পর যোগসাজশে খিলাফত রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার জন্য গোপনে বিভিন্ন ভিডিও প্রদর্শন ও জিহাদি লিফলেট বিতরণ করেছেন।’

আরো বলা হয়েছে, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টার্গেট করে হত্যার পরিকল্পনা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানো, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর হামলা করে ক্ষতিসাধন ও হুমকির সৃষ্টি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও যোগদানের অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানার খানবাড়ী চৌরাস্তায় মৃত মো. খানের বাড়িতে জেএমবির আঞ্চলিক সমন্বয়ক সাখায়াতুল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএসআইএসের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী সদস্য সংগ্রহের জন্য গোপনে বৈঠক করছিলেন। ওই বাসা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে আইএসআইএস-সম্পর্কিত জিহাদি প্রচারপত্র, তাঁর ল্যাপটপে আইএসআইএস-সংক্রান্ত প্রচুর ভিডিও জব্দ করা হয়।

গত ১৮ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৬(১) (ক) ৭, ৮, ৯, ১১ ও ১৩ ধারায় মামলাটি করেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G