টনসিল ব্যথায় করণীয়
হেল্থ ডেস্ক
শীত সবার দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে। সেই সাথে কড়া নাড়ছে ঠাণ্ডাজনিত কিছু রোগ। এর মধ্যে থায়রয়েড গ্রন্থির (টনসিল) ব্যথা বা ফোলা জনিত সমস্যা কারও কাছেই বিশেষ অপরিচিত নয়। প্রতি বাড়িতেই কোনও না কোনও মানুষ থায়রয়েডের বা টনসিলের সমস্যায় ভোগেন। এর থেকেই দেখা দেয় গুরুতর সব অসুখ।
সন্তান ধারণের ক্ষেত্রেও বড় বাঁধা হয়ে দাঁডায় থায়রয়েড। সমস্যা থাকলে খাওয়া দাওয়া, জীবনযাপন কড়া নিয়মে বেঁধে দেন চিকিৎসকরা। তাই শীতের শুরুতে জেনে নিন থায়রয়েড বা টনসিলের সমস্যায় কী খাবেন, কী খাবেন না।
চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে, থায়রয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বাড়াতে শরীরে জিঙ্ক, আয়োডিন, অ্যালগি, কপার ও আয়রনের পরিমাণ বাড়ানো প্রয়োজন।
কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন-
বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকোলি, ছোলা জাতীয় খাবার থায়রয়েড বাড়ায়। এছাড়াও সরিষা, মুলা, মিষ্টি আলু, চিনা বাদাম এড়িয়ে চলাই ভালো। থায়রয়েড বেড়ে গেলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার যেমন পনির, চিজ ডায়েট থেকে বাদ দিন। চিনি, রান্না করা গাজর, পাকা কলা, শুকনো ফল, মধু, ময়দার রুটি, সাদা ভাত, আলু, সাদা পাস্ত, মিষ্টি শরীরে কার্বহাইড্রেটের মাত্রা বাড়ায়। থায়রয়েড থাকলে এগুলোও কম খান।
কোন খাবার খাবেন-
কপার এবং আয়রন দুটোই থায়রডের মোকাবিলা করতে জরুরি। টাটকা মাংস, ওয়েস্টার, কাজু, গমের আটা, কোকোতে প্রচুর পরিমাণে কপার রয়েছে। সবুজ শাকসবজি, বিন, আঁশওয়ালা মাছ, সামুদ্রিক মাছ, পোলট্রির ডিমে রয়েছে আয়রন। সেই সঙ্গেই ভিটামিন সি ব্যালান্স করতে লেবু, টমেটো, ক্যাপসিকাম খান। আগে নারকেল বা নারকেলের দুধ থায়রয়েডের আদর্শ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তবে থায়রয়েড বশে রাখতে স্ট্রেস কমানোর প্রয়োজন রয়েছে। তাই থায়রয়েড কমাতে মাথা ঠান্ডা রাখা জরুরি।
প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে