ইজ্জ্বতের মূল্য ৭০ হাজার
জেলা প্রতিনিধি
মাধবপুর উপজলোর কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে গণধর্ষন করে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়েছে স্থানীয় কয়েক মাতব্বর। আর ঐ সমাধানের নামে ধর্ষণকারীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে আরো ৫০ হাজার টাকা। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের কালিকাপুর বাজারে এ শালিস বৈঠক অনুষ্টিত হয়।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামের চা-বিক্রেতা আবু তাহের মিয়ার কন্যা ও কালিকাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী (১২) স্থানীয় কালিকাপুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় পথিমধ্যে উজ্জলপুর গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় পৌছালে একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার পুত্র সোহাগ মিয়া (১৯) ও রহমত আলীর পুত্র মোহন মিয়া (২০) স্কুল ছাত্রীকে জোরপুর্বক পার্শ্ববর্তী ধানি জমিতে নিয়ে হাত-পা বেধেঁ পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তার সুর-চিৎকারে পার্শ্ববর্তী গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট সোহাগ ও মোহন পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে ধর্ষনের ঘটনার পর থেকে স্থানীয় কিছু মাতব্বর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে উঠ পরে লাগে। সর্বশেষ গতকাল ওই গ্রামের নজরুল গাজী, আব্দুস শহীদ মেম্বার ও শাহ শিপন মিয়াসহ স্থানীয় কিছু সুবিধাভোগী লোক অনেকটা জোরপূর্বক বিষয়টি ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়। ধর্ষিতার পরিবারকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ধর্ষকদের রক্ষা করে তারা।
অপর একটি সূত্র জানায়, সমাধানের বিনিময়ে মাতব্বররা ধর্ষকদের পরিবারের কাছ থেকে আরো ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে।
এদিকে স্থানীয় ঐ সূত্রটি জানান, প্রভাবশালী ওই তিন ব্যক্তিসহ তাদের একটি গ্রুপ প্রায় সময়ই এলাকার বিভিন্ন বিষয় মীমাংসার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে। এমনকি তাদের কথামত রাজি না হলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকিও দেয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার ওসি মোল্লা মুনির হোসেন মীমাংসার বিষয়টি শুনেছেন এবং তিনি বলেন, আবু তাহের মিয়ার পক্ষ কোন অভিযোগ না দেয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছেনা।
প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে