ভয়ের বাড়ি
বাড়ি। এই শব্দটিতে আশ্রয়ের খোঁজ মেলে। কিন্তু যখন বিধি বাম, তখন তো বাড়ি শব্দটিই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাড়ায়। যদি আপনার সাধের বাড়িতে এমন কেউ বাস করতে শুরু করে, যাকে দেখা সাধ্যের বাইরে।
ভূত-প্রেত আর ভৌতিক স্থান নিয়ে নানা কেচ্ছা-কাহিনী আছে। শোনা যায় বিশ্বজুরে নাকি তাদের বাস। ভূত, অশরীরি বা আত্মা এই সম্পর্কিত দুই একটি গা শিরশিরে গল্প আমাদের সবারই জানা আছে। আর তেমনি ভূতুরে কিছু জায়গার ঠিকানাও। মনপটে বিশ্বাস বা অবিশ্বাস যাই থাক। পৃথিবীতে সত্যিই কিছু বিখ্যাত ভূতুরে বাড়ি আছে। আসুন জেনে নেই তেমনি কিছু বাড়ির রহস্য।
দ্যা বিচওয়ার্থ লুনাটিক এসাইলেম: অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত দ্যা বিচওয়ার্থ লুনাটিক এসাইলেম মূলত মে ডে হিলস লুনাটিক এসাইলেম নামে পরিচত। এটি ১৮৬৭ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত মানসিক হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহৃত হত। তৎকালীন সময়ের সর্ববৃহৎ এই মানসিক হাসপাতালে একই সাথে ১২০০ রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হত। কথিত আছে এই হাসপাতালে থাকা কালিন সময়ে ১৩০ বছরে প্রায় ৯০০০ রোগী মারা যায়। ধারণা করা হয় তাদের আত্মারা আজও এই হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায়। যদিও হাসপাতালটি বর্তমানে পরিত্যাক্ত।
কাটাকম্ব, প্যারিস: কাটাকম্ব প্যারিসের একটি আণ্ডারগ্রাউন্ড অসারি (যেখানে মরা মানুষের মাথার খুলি, কঙ্কাল রাখা হয় )। ১৭০০ সালের মাঝামাঝি এটি নির্মাণ করা হয় । যারা কমপক্ষে ৩০ বছর আগে মারা গেছে তাদের খুলি এখানে সংরক্ষণ করা হয়। শোনা যায় এখানকার খুলি, হাড়গুলো নাকি রাতের বেলা নিজে নিজে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে ।
হোয়াইট হাউস: ভূতুরে স্থানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত নাম হচ্ছে হোয়াইট হাউস। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এর বাসভবন। এখানে প্রেসিডেন্ট হ্যারিসন একটি কক্ষে চিৎকার শুনতে পেয়েছিলেন। কথিত আছে একজন ফার্স্টলেডীর আত্মাকে প্রায়শই হোয়াইট হাউসের করিডোর ধরে হেটে যেতে দেখা যায়। আর হোয়াইট হাউসে যার আত্মাকে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় তিনি হলেন আমেরিকার বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম