গাদ্দাফির পতনে ঘানার স্বপ্ন ভঙ্গ
নিজস্ব প্রতিবেদক
লিবিয়াতে মুয়াম্মার গাদ্দাফীর পতন হয়েছিল ২০১১ সালে। তখন লিবিয়া জুড়ে আনন্দ মিছিল করেছিলেন অনেকে। কিন্তু লিবিয়ার এই নেতার পতন ও মৃত্যু নিয়ে এখনো দু:খ প্রকাশ করছে ছোট্ট দেশ ঘানার অনেক অধিবাসী। আশ্চর্য্য হলেও এটাই সত্য।
ঘানার উত্তরে একটি লিবিয়া প্রেমী কমিউনিটি আছে। যদিও এই প্রেমের মূলে আছে অর্থ। লিবিয়াতে কাজ করে টাকা পয়সা উপার্জন করে সফল হয়েছেন, ঘানায় এমন কিছু মানুষের দেখা মেলে। তাদের একজন করিম মোহামেদ। তিনি বলছেন, “গাদ্দাফির সময় লিবিয়ায় সবাই সুখী ছিল। মার্কিন মুলুকেও মানুষ রাস্তায় ঘুমায় কিন্তু লিবিয়াতে তা ছিল না”। গাদ্দাফির পতনের আগে তিন বছর লিবিয়াতে দর্জির কাজ করেছেন মোহামেদ।
সেখান থেকে উপার্জন করা অর্থ দিয়ে দেশে বাড়ি বানিয়েছেন। সেখানে তিন সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। করিম মোহামেদের মতো গাদ্দাফি প্রেমী আরও খুঁজে পাওয়া গেলো ঘানার উত্তরের শহর লিবিয়া কোয়ার্টারে। স্থানীয়ভাবে মানুষজন শহরটিকে এই নামেই ডাকেন। এই শহরের সবাই গাদ্দাফির সময়ে লিবিয়াতে অর্থ উপার্জন করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।
গাদ্দাফির গুনে মুগ্ধ আর একজন ইলিয়াস ইয়াহিয়া বলছেন, “তাকে মেরে কি লাভ হলও? সমস্যা দুর হওয়ার বদলে তা তো আরও শক্তপোক্ত হয়েছে”।
এ শহরে একটাও ভাঙাচোরা ঘরের দেখা মেলে না। তবে শহরের অধিবাসীরা বলছেন, গাদ্দাফির পতন ও মৃত্যুর পর থেকে শহরে নতুন করে আর কোন দামি বাড়িঘর ওঠেনি। বরং অনেক অসমাপ্ত ভবন এখন চোখে পড়ে। ঘানার তরুণরা আর লিবিয়ায় কাজ পান না। বেকারত্বও বেড়েছে অনেক।
সর্বোপরি অবস্থা এমন যে, গাদ্দাফির মৃত্যুর সাথে সাথে ঘানার অনেক তরুণের আশারও যেন মৃত্যু হলো।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম