যে ক্যাফেতে পাবেন সাপ পেঁচার দেখা!
জাহিদ বিন মনির
ক্যাফে আর রেস্টুরেন্টের অভাব নেই অামাদের ঢাকা শহরে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে আর অলিতে গলিতে নজরে পরে বিভিন্ন নামের ক্যাফে। আমাদের শহরের ক্যাফেগুলোর বৈচিত্রতা বলতে ক্যাফের মালিকদের মুখগুলোই বিশেষভাবে চোখে পড়ে। এক এক জন এক এক চেহারার। এছাড়া পরিবেশন, সাজসজ্জা বা খাবারের ভিন্নতা খুব একটা নেই । সবাই ঐ একজন পীরের মুরিদ, ব্যবসা। আর ব্যবসার জন্যই ক্যাফে।
যদি ক্যাফেতে মনোরঞ্জন অথবা সময়টা উৎসাহ বা আনন্দের সাথে অতিবাহিত করার উপাদান থেকে থাকে আর সেই ক্যাফেগুলোর নাম বলতে হলে উল্লেখ করতে হবে টোকিও শহরের কিছু ক্যাফের কথা। টোকিও শহরের উল্লেখযোগ্য ক্যাফেগুলোর মধ্যে বেশ আলোচিত ‘স্ন্যাক ক্যাফে’ বা ‘সাপের ক্যাফে’ আরেকটি ‘আউল ক্যাফে’ বা ‘পেঁচার ক্যাফে’।
ধরুন ক্যাফের যে টেবিলে বসে আপনি কফি বা লাইট খাবার খাচ্ছেন সেই টেবিলটির মাঝে একটি সাপ কুন্ডুলী পাকিয়ে বসে আছে। কী করবেন? কেমন লাগছে? দৌড় দেয়ার প্রয়োজন নেই, সাপটি কাচের বাক্সে বন্দি। তবে আপনি চাইলে সাপের সাথে সেলফি তুলতে পারবেন। সেজন্য সুব্যবস্থাও রয়েছে । সবচেয়ে বড় বিষয় সাপগুলোর বিষ দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপনার জীবন যাপনের কোন এক বিশেষ মুহূর্ত আপনি সাপের সঙ্গে কফি খেয়ে কাটাতেই পারেন।
শুধু তাই নয় জাপানের রাজধানীতে এমন আরো অনেক ক্যাফে আছে যেমন খরগোশের ক্যাফে, বিড়ালের ক্যাফে। তবে সম্প্রতি সময়ের সবচেয়ে আলোচিত হলো আউল ক্যাফে। নাইট এই ক্যাফেতে আপনার জন্য থাকছে বিনোদনের সর্বোচ্চ উপকরণগুলো । তার মধ্যে অন্যতম হলো পেঁচা । প্রায় পঁচিশ প্রজাতির পেঁচা আছে এই ক্যাফেতে । নিরব রাত্রি উদযাপনের মাঝে পেঁচার ডাকে চমকে না উঠলে কি হয়?
প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম