মোবাইল কোর্টেও থামছে না সিএনজি চালকদের নৈরাজ্য
ঢাকা শহরে মিটারে না যাওয়ায় সিএনজি অটো রিকশার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হলেও থামছেনা চালকদের নৈরাজ্য। মহানগরীতে অবৈধভাবে বিভিন্ন জেলার সিএনজি এবং প্রাইভেট সিএনজিগুলোর ভাড়ায় চলার কারণেই যাত্রী হযরানি বন্ধ করা যাচ্ছে না বলে দাবি, সিএনজি অটো শ্রমিক ইউনিয়নের।
আর প্রাইভেট সিএনজি বন্ধ না হলে ২ জানুয়ারী থেকে লাগাতার ধর্মঘটেরও হুমকি দেন তারা। এদিকে বাণিজ্যিক নিবন্ধন না দিয়ে প্রাইভেট সিএনজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে পাল্টা কর্মসূচী দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারী প্রাইভেট মালিক সমিতির। তবে বিআরটিএ বলছে, আইন অমান্য করলেই নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা।
এদিকে ঢাকা মহানগরীতে অবৈধভাবে চলছে গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ জেলার এসব সিএনজি অটো রিকশা। মিটার নেই তাদের, তাই যাত্রীকে যেতে হবে ভাড়ায়। এসব প্রাইভেট সিএনজি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হলেও তারা ভাড়ায় খাটছেন । আর এই প্রাইভেটের মালিক যদি হয় কোন সার্জেন্ট, তবেতো কথা বলা দায়। প্রতিনিয়তই যাত্রীদের জিম্মি করে মিটারে না গিয়ে ভাড়ায় যেতে বাধ্য করছে চালকরা। মিটারে যাতে না যেতে হয়, সেজন্য যাত্রীদের চোখ ফাঁকি দিতে কিছু সিএনজির রঙ পরিবর্তন করারও অভিযোগ রয়েছে।
আইন অমান্যকারী এসব চালকদের বিরুদ্ধে পরিচালিত হচ্ছে মোবাইল কোর্ট। দেয়া হচ্ছে জেল, জরিমানা। এছাড়া যাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, কাগজপত্র জব্দ করার পর চালকদের কেউ কেউ বিআরটিএ অফিসে দোষ স্বীকার করে দিচ্ছেন মুচলেকা। এরপরও বন্ধ হচ্ছেনা নৈরাজ্য। হযরানির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা।
প্রাইভেট সিএনজির কারণেই এমন অবস্থা বলে দাবি সিএনজি শ্রমিক ইউনিয়নের। প্রাইভেট সিএনজি বন্ধ না হলে লাগাতার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারী তাদের। আর প্রাইভেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে পাল্টা কর্মসূচী দেয়া হবে বলে জানান প্রাইভেট মালিক কল্যাণ সমিতি। তবে যাত্রীদের হযরানি করলে মেট্রো এবং প্রাইভেট কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে বিআরটিএ এবং ট্রাফিক বিভাগ।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেবিএম