পৌর নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫ সময়ঃ ১১:৫৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৪:৫০ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

imagesসারাদেশে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হয়ে শান্তিপূর্ণভা্বেই চলছে ভোটগ্রহণ। তবে এরই মধ্যে নির্বাচনকে ঘিরে কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে গেছে।

চাঁদপুরের মতলব পৌরসভার বাইশপুর ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে একজন পুলিশসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। কচুয়া শাহ নেয়ামত শাহ ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ১২ জন।

জামালপুরের সরিষাবাড়ির একটি কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে মারধর করার অভিযোগে একটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মেয়র প্রার্থী নুরুন্নবী অপুর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।  

টাঙ্গাইলের ভূঁইয়াপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী তারিকুল ইসলাম চঞ্চলের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাহাদীপুর ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে জালভোট দেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে রাসেল হোসেন নামে এক যুবককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নরসিংদীর মাধবদী পৌরসভার ১ নম্বর কেন্দ্র মাধবদী মহাবিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ৪ নম্বর আলহাজ ফজলুল করিম কিন্ডারগার্টেন কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এর আগে একই পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আলহাজ ফজলুল করিম কিন্ডারগার্টেন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

ফেনীর দাগনভূঞাঁ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপি মেয়র প্রার্থী সাইফুর রহমান স্বপনকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। সকাল সাড়ে ৯টায় করিমপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গেলে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা তাকে মারধর করে বলে জানিয়েছেন স্বপন।
 
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা পৌরসভার আট নম্বর ওয়ার্ড কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। সকাল ১০টার দিকে আওয়ামী লীগের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের পর ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়। এ ঘটনায় কাউন্সিলর প্রার্থী বকুল চন্দ্র শীল আহত হয়েছেন। যশোরের চৌগাছায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর এজেন্টকে একটি কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বরগুনা পৌরসভার গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সদর থানার ওসি, প্রিজাইডিং অফিসার এবং সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কয়েকটি ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। কুয়াকাটা সদর পৌরসভার একটি ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

রাজশাহীর পুঠিয়া পৌরসভার পিএন বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে গভীররাতে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করার অভিযোগে দুই সংবাদ কর্মী ও এক ব্যক্তিকে আটক করে বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। মঙ্গলবার ( ২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটে তাদের আটক করা হয়। সকালে তাদের তিনজনকেই পুলিশে সোপর্দ করে বিজিবি।

কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় জালভোট দেওয়ার অপরাধে একজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া হবিগঞ্জ সদরের একটি ভোটকেন্দ্রের পাশেই ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G