যেসব অভ্যাসে পেটে মেদ জমে
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
পেটের মেদ কমানোর জন্য ব্যায়াম, ডায়েট থেকে শুরু করে কত কিছুই না করা হয়। কিন্তু নিজের অভ্যাসের দিকে লক্ষ্য করেছেন কি? আপনার প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস পেটের মেদ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। এই অভ্যাসগুলো যদি থেকে যায়, তাহলে ব্যায়াম আর ডায়েট করে পেটের মেদ কিছু কমলেও পুরোপুরি কমবে না। তাই আজই এই অভ্যাসগুলো ত্যাগ করুন।
১। দেরি করে রাতের খাবার খাওয়া
রাতে দেরি করে খেয়ে সাথে সাথে ঘুমিয়ে পড়লে পেটে মেদ জমে। ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্ষুধা পেলে কলা বা দুধ খেতে পারেন।
২। অপর্যাপ্ত ঘুম
অপর্যাপ্ত ঘুম দেহের করটিসল (স্ট্রেস হরমোন) বৃদ্ধি করে। এতে চিনি খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। রাতে জেগে থাকার অভ্যাস থাকলে তা আজই ত্যাগ করুন। ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন ।
৩। ডায়েট ড্রিঙ্ক আসক্তি
আপনি যদি মনে করেন ডায়েট ড্রিঙ্ক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এবং এটি ওজন বৃদ্ধি করে না, তবে আপনি ভুল ধারণা নিয়ে আছেন। University of Texas Health Science Center ৪৭৫ জনের মধ্যে জরিপ চালিয়েছিল। এতে দেখা গেছে, যারা ডায়েট ড্রিঙ্ক পান করেছেন তাদের কোমর যারা ডায়েট ড্রিঙ্ক পান করেন না তাদের তুলনায় ৭০% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়; যারা দিনে দুইটির বেশি ডায়েট ড্রিংক পান করেন তাদের ৫০০% পর্যন্ত কোমর বৃদ্ধি পেতে পারে!
৪। মন খারাপের সময় খাওয়া
মন খারাপ হলে অনেকেই খাওয়া শুরু করে দেয়। স্ট্রেসের সময় আপনার খেয়াল থাকে না আপনি কী পরিমাণে খাবার খাচ্ছেন। ফলে পেটের মেদ বৃদ্ধি পায় সহজেই। মন খারাপের সময় খাওয়ার পরিবর্তে কয়েক গ্লাস পানি পান করুন বা ব্যায়াম করুন। এটি আপনার স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে।
৫। প্রোটিনের অভাব
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ গ্রাম পরিমাণে প্রোটিন খাওয়া উচিত। প্রোটিন ব্লাড সুগার লেভেল এবং ইনসুলিনের লেভেলের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখে। এই প্রোটিনের অভাবেও পেটে মেদ জমতে পারে।
৬। টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া
আপনার জন্য খাবার গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন যখন আপনি টিভি বা কম্পিউটার দেখতে দেখতে খান। এটি খাবারের দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ে আসে। এর ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া হয়ে যায় এবং পেটে মেদ বৃদ্ধি পায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি