কমলাপুর বিদ্যালয়ের দুরাবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০০৭ সালে ক্লাশ চলাকালীন সময় ছাদের প্লাস্টার খসে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার পর থেকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় অবস্থিত কমলাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। এরপর থেকেই বিদ্যালয়ের পাঠদান চলছে খোলা আকাশের নিচে ও এক চালার ঘরে। নেই পর্যাপ্ত আসন ব্যবস্থা, বর্ষার পানি আর রোদ-বৃষ্টির খেলায় ভোগান্তিতে বিদ্যালয়টিতে পড়ুয়া প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়,
‘‘ আমাদের বেঞ্চ নাই দেইখ্যা আমাদের চটে বসে পরীক্ষা দিতে হয়। চটে বসতে আমাদের ভালো লাগে না।
‘‘ স্কুলটা ঠিক কইরা দিলে আমার লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারতাম। ’’
স্থান সংকুলান না হওয়ায়, বিদ্যালয়টির সাময়িক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে নিকটবর্তী কোচিং সেন্টার ও বাড়িতে। উপযুক্ত পরিবেশের অভাবে পাঠে মনোযোগ হারাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়টির শিক্ষকগণ জানায়,
‘‘ অনেক অভিভাবক মনে করেন বিদ্যালয় ভবন ভেঙ্গে পড়ে শিক্ষার্থীদের মাথার উপরে পড়বে। তাই তারা সন্তানদের এই স্কুলে পাঠাতে চায় না।’’
‘‘ যদি আমাদের একটা ভবন হয়, তাহলে আনন্দঘন পরিবেশে আমরা পাঠদান করাতে পারবো শিক্ষার্থীদের। ’’
বিদ্যালয়ের এহেন দুরাবস্থার কারণে এখানে পড়ুয়া শিক্ষর্থীদের নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ তাদের অভিভাবকেরা। তারা জানায়,
‘‘ ঝড় হলে, বৃষ্টি হলে পোলাপাইন আসতে পারে না। লেখাপড়া বাধাগ্রস্থ হয়। ’’
সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপে গ্রহণের আশ্বাস জানিয়েছেন রাজৈর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন,
‘‘ পাশে অস্থায়ী একটি টিনের ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব শিঘ্রই ভবন মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’’
এদিকে, এলাকার কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করণের বিষয়টি চিন্তা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নিমার্ণের আহবান জানিয়েছে এলাকাবাসী।
প্রতিক্ষণ/এডি/এস আর এস