বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ জীবন্ত প্রাণী ছত্রাক
যখন আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রাণীর বিষয়ে চিন্তা করেন,নীল তিমি সম্ভবত প্রথমে আপনার মনে আসবে। ত্রিশ মিটার দীর্ঘ এই প্রাণীটি ডাইনোসরের চেয়েও বড়।কিন্ত দেখা যাচ্ছে,পৃথিবীর বৃহত্তম জীবন্ত প্রাণীর মধ্যে শক্তিশালী নীল তিমিকে একটি ছত্রাকের কাছে পুচকে মনে হয়।
স্পষ্ট করে বললে,বিশ্বের সর্ববৃহৎ পরিচিত প্রাণীটি ওরেগন ব্লু পর্বতমালায় মধু ছত্রাক হিসেবে বাস করে।ছত্রাকটি দুই হাজার ছয়শো একর মাটি জুড়ে আছে যা ষোলশো পঁয়ষট্রিটি ফুটবল মাঠ দখল করার মতো।
মধু ছত্রাক কিংবা মধু মাশরুম নামে এটি পরিচিত। এই পরজীবী ছত্রাক সেখানে উপনিবেশ স্থাপন করে সা্ধারন ও বন্য গাছ হত্যা করছে।এই কারনে গাছটিকে ‘উদ্যানপালকদের দুঃস্বপ্ন’ বলে ডাকা হয়।যদি ও কিছু বৈশিষ্ট্য অন্যদের তুলনায় বেশি ক্ষতিকর।
আর্মিলারিয়া মহাপ্রজাতি সদস্যরা ভোজ্য হলুদ বাদামি রংয়ের মাশরুম যা মাটির উপরে জন্মে। গন্ধের চেয়ে রংয়ের কারনে মাশরুমটি ডাকনাম অর্জন করে। এই মাশরুমটির শেকড় মাটির ভূগর্ভে অবস্থিত।
বিজ্ঞানীরা ১৯৯২ সালে দুটি বড় নমুনা নিয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন। যার একটির বসবাস ছিল ক্রিস্টাল জলপ্রপাতের কাছে শক্ত কাঠওয়ালা জঙ্গলে। অন্যটি দক্ষিন-পশ্চিম ওয়াশিংটনের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ছিল। কিন্ত কয়েক বছর পরে এ দুটিকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
১৯৯৮ সালে ওরেগনের জাতীয় বনে বিভিন্ন বৃক্ষের মারা যাওয়ার বিষয়ে বিজ্ঞানীরা তদন্তে নামেন। ১১২ টি মৃত বৃক্ষের শেকড় নিয়ে গবেষণা করেন তারা। গবেষণায় দেখা যায় প্রায় ২৪০০ বছরের পুরনো একটি মাশরুমে আক্রান্ত হয়ে চার কিলোমিটার দূরে থাকা একটি বৃক্ষ মারা যায়। এই মাসরুমকে পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবিত প্রাণী বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
জেনেটিকালি অভিন্ন কোষ যোগাযোগের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি বর্তমানে বিশ্বের জীবন্ত প্রাণীর একটি।
প্রতিক্ষণ/এডি/জেডআর