লক্ষ্ণীপুরে পুলিশের গুলিতে আহত ৩

প্রকাশঃ মে ২৮, ২০১৬ সময়ঃ ৭:০১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:০১ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

luxmipur

পুলিশের গুলিতে  ৩ জন আহত হয়েছেন লক্ষ্ণীপুরে। জোরপূর্বক ব্যালেট পেপারে সিল মারাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে দুর্বৃত্তদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় লক্ষ্ণীপুরের সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের ইউসুফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ওই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন, সম্রাট, মো. জাবেদ ও মনির। পরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট কেড়ে নিয়ে জোরপূর্বক সিল মারতে চাইলে দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী আনারস প্রতীকের সমর্থকরা বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ শটহগানের ছররা গুলি চালালে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়।

এছাড়া ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন সাথে রাখার অপরাধে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তিনজন ও চরশাহী ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর কেন্দ্র থেকে দুইজনসহ পাঁচজন নৌকার এজেন্টকে আটক করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

অপরদিকে, তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নে হোসেনপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নূর হোসেন নামে একজনকে এক বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মুনীর হোসাইন এ দণ্ড প্রদান করেন। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মো. মুতাওয়াক্কিল বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, শনিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম কর্মীদের মারধর, কেন্দ্র আসতে বাধা, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষমতার প্রভাব বিস্তারসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।

ভোট গ্রহণকালে মান্দারী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মিজানুর রহিম ৭টি কেন্দ্রে দখল করে নেয় বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করেন। উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে ধানের শীর্ষ প্রতীকের প্রার্থীদের দেখা যায়নি।

সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থক মিজানুর রহিম মিজানের বিরুদ্ধে ৭টি কেন্দ্রে দখল করে বিএনপি, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এজেন্টেদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে মান্দারী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডঃ মাহাবুবুল করিম টিপু অভিযোগ করে বলেন, নৌকা সমর্থকরা আমার এজেন্ট ও সমর্থকদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সীল মারে। আমার বিজয়কে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G