সিংহের যাবজ্জীবন!

প্রকাশঃ জুন ২৭, ২০১৬ সময়ঃ ২:৫৭ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:৫৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

asiatic-lion-india-panthera_leo_persica_-kachchh_gujerat_india_-female-8

জঘন্য অপরাধের দায়ে মানুষের যাবজ্জীবন হয়। কিন্তু কখনো শুনেছেন কি, পশু-পাখিরও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এমনটাই ঘটেছে ভারতের গুজরাট রাজ্যে। মানুষখেকো হিসেবে প্রমাণ পাওয়ার পর সেখানে ৩ সিংহের যাবজ্জীবন হয়েছে। ফলে তাদের বাকি জীবন কাটাতে হবে খাঁচায়।

এর আগে গত দুমাসে গুজরাটের গির বন থেকে মানুষখেকো সন্দেহে ১৮টি সিংহ আটক করা হয়। গির বনে সিংহের আক্রমণে ৩ ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর মানুষখেকো সিংহ খোঁজা শুরু হয়।

আটকের পর তাদের পায়ের ছাপ ও বিষ্ঠা পরীক্ষা করে দেখা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক একটি পুরুষ সিংহ ও দুটি বাচ্চা মাদি সিংহের বিষ্ঠায় মানবদেহের নমুনা পাওয়া গেছে। এ থেকে প্রমাণিত হয়, তারা মানুষ খেয়েছে।

পুরুষ সিংহটিকে রাখা হয়েছে শাক্কারবাগ চিড়িয়াখানায়।  আর কখনো ছাড়া হবে না তাকে। এটিকে আমৃত্যু চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দি থাকতে হবে। বাচ্চা ও মাদি সিংহ দুটিকে আলাদা করে রাখা হয়েছে বন বিভাগের রেসকিউ সেন্টারে।

গুজরাটের প্রধান বনসংরক্ষণ কর্মকর্তা এপি সিং জানিয়েছেন, কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন, মানুষ ওপর আক্রমণ করে পুরুষ সিংহ এবং মাদি সিংহ শিকারের উচ্ছিষ্ট অংশ খেয়ে থাকে।

এশীয় লায়ন অর্থাৎ এশিয়ার সিংহ আছে শুধু গির বনে। সম্প্রতি এ বনে ৬ জন মানুষের ওপর হামলা হয়েছে, যার মধ্যে ৩ জনকে মেরে খেয়ে ফেলেছে। এরপর মানুষখেকো সিংহের সন্ধান করা হয়। আটক করা হয় ১৮ সিংহ। ১৩ জুন থেকে শুরু হয় এদের পায়ের ছাপ ও বিষ্ঠার পরীক্ষা।

এর আগে ভারতে একটি মানুষখেকো বাঘের আটকাদেশ নিয়ে মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুর এ মামলার রায় দেন। মানুষখেকো প্রমাণিত হওয়ায় বাঘটিকে আমৃত্যু খাঁচায় বন্দি করে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G