কুবিতে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত ১

প্রকাশঃ আগস্ট ১, ২০১৬ সময়ঃ ১:২৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:২৪ অপরাহ্ণ

কুমিল্লা প্রতিনিধি:

Comilla.কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত নয়জন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শোকের মাস আগস্ট উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্বলনের পর গোলাগুলি শুরু হয়।
সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ছাত্রদের বেলা ১১টা ও ছাত্রীদের বেলা দুইটার মধ্যে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গুলিতে নিহত ছাত্রের নাম খালেদ সাইফুল্লাহ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপণনবিদ্যা বিভাগের সপ্তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও কবি নজরুল হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।
সংঘর্ষের সময় আতঙ্কে হল থেকে লাফিয়ে পড়ে, গুলিতে ও রামদার কোপে অন্তত নয়জন আহত হয়েছেন। তারা কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও প্রশাসন সূত্র জানায়, রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু হলে ছাত্রলীগের উদ্যোগে মোমবাতি জ্বালানো হয়। কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত
হলের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে ৫০ থেকে ৬০ জন ছাত্রলীগ কর্মী বঙ্গবন্ধু হলে যায়। এ সময় হলের ভেতরে দুই পক্ষের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলিবিনিময় হয়। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক
রেজা ই এলাহীর কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। কয়েকজনের কাছে রামদা, পিস্তল ছিল। সংঘর্ষের একপর্যায়ে খালেদের মাথার কাছে গুলি লাগে। তাঁকে প্রথমে কুমিল্লার স্থানীয় একটি হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে আজ ভোরে তিনি মারা যান।
সংঘর্ষের জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হলে
ঢুকে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা ছিলাম নিরস্ত্র।’
ইলিয়াস হোসেনের ভাষ্য, বিপ্লব নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপণনবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ কর্মী বহিরাগত যুবকদের নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান।

একাধিক সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে কয়েক দিন থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। প্রতিষ্ঠার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোহাম্মদ আয়নুল হক বলেন, ছাত্রলীগের একপক্ষ মধ্যরাতে আরেক হলে এসে গুলি ছোড়ে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের গুলিবিনিময়ে একজন নিহত হয়েছেন।

====

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G