বিড়ালের সঙ্গে বন্ধুত্ব
প্রতিক্ষণ ডেস্ক:
পোষা প্রাণী হিসেবে বিড়ালের জুড়ি নেই। আদরপ্রিয় এ প্রাণীটি সবসময় মানুষের কাছ ঘেঁষে থাকতে চায়, বন্ধু হিসেবে পাশে থাকতে চায়।
বোরডপান্ডা ওয়েবসাইটে বেন ম্যানকিউসো নামের এক নারী বিড়ালের সঙ্গে তার সন্তানের বন্ধুতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, পরিবারের জন্য তারা প্রথমে র্যাগডল প্রজাতির একটি বিড়াল কিনে আনেন। এটির নাম লুসি। এরপর তারা আইরি নামের আরেকটি বিড়াল নিয়ে আসেন। এ দুটি বিড়ালের সঙ্গে তার সন্তানদের বন্ধুত্বের নানা ছবি তিনি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন।
এসব ছবির কোনোটিতে দেখা যাচ্ছে, বিড়ালের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতেছে তার সন্তান। কোনোটিতে বিড়ালকে পাশে বসিয়ে পড়ালেখাও করতে দেখা যায় শিশুটিকে।
কোনো ছবিতে দেখা যায়, বিড়ালকে আদর করে দুধ খাইয়ে দিচ্ছে শিশুটি। আবার কোনো ছবিতে বিড়ালকে বড়শিতে গাঁথা মাছ খাওয়ানোর লোভ দেখানো হচ্ছে। কিন্তু বিড়াল বড়শির মাছের নাগাল পাচ্ছে না।
বিড়ালের সঙ্গে টেলিভিশনের রিমোট কন্ট্রোল ভাগাভাগিও করতে দেখা যায় বেন ম্যানকিউসোর সন্তানদের। শিশুটি হয়ত জেগে আছে, বিড়ালটি রিমোট কন্ট্রোল নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
বাড়ির বাইরে পোষা বিড়ালটি নিয়ে খেলতেও যায় শিশুটি। আবার জানালা দিয়ে আকাশ দেখা-তাও চলে। সোফার ওপর বিড়ালের সঙ্গে ঘুমের ভঙ্গি করে ছবি তোলার জন্য পোজ দেওয়াও রয়েছে।
বেন ম্যানকিউসো জানান, তার দুটি বিড়ালের মধ্যে লুসি বেশি খাবার পছন্দ করে। ক্ষুধা পেলে সে কাছে এসে মিউমিউ করে। পেট রগড়ায়। আর আইরি নামের বিড়ালটি বেশি কৌতুকপ্রিয়। খেলায় মেতে থাকতেই তার যত আনন্দ।
বিড়ালের সঙ্গে মানবশিশুর এই নির্মল বন্ধুত্ব খুবই সহজাত ও স্বাভাবিক। ছবিগুলোতে সেটিই ফুটে উঠেছে।
প্রতিক্ষণ/ এডি/ একে
=====