সাখাওয়াতের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ
আদালত প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশনের শুনানি শেষে চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রবিবার সকালে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে সাখাওয়াতের জামিন আবেদনের শুনানির জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন।
অপরদিকে সাখাওয়াতের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন এ্যাডভোকেট মইনুল হক।
ট্রাইব্যুনালের আদেশে গত ২২ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ধানমন্ডির সেফহোমে সাখওয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) আব্দুর রাজ্জাক খানসহ আরও দুই কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
গত বছরের ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। তদন্তের স্বার্থে সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়ে তার বিরুদ্ধে তদন্তে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে তদন্ত সংস্থা জানায়।
সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে ৭১’ সালে সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে যশোরে একাধিক মামলা রুজু করা হয়। পরে ওইসব মামলা ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
২০১২ সালের ১ এপ্রিল সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা তদন্ত করার জন্য নথিভূক্ত হয়। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছেন আব্দুর রাজ্জাক খান।
সাখাওয়াত ১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াতের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য থাকাবস্থায়ই তিনি জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন তিনি। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে পরাজিত হন সাখাওয়াত।
২০০১ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে বিএনপি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। পরে তিনি এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন।
প্রতিক্ষণ /এডি/বাবর