রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদান কয়লা
রূপচর্চায় প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার সবচাইতে বেশি। প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত এমন এক উপাদান এর নাম কয়লা।
ত্বকের যত্নে, চুলের যত্নে মুলতানি মাটি, চন্দন, কাঁচা হলুদ তো অনেক মেখেছেন। কিন্তু কাঠকয়লা? কয়লা দিয়েও যে দারুণ ত্বক, চুলের যত্ন নেওয়া যায় জানতেন কি? রূপচর্চায় অসাধারণ কাজ করে অ্যাকটিভেটেড চারকোল। জেনে নিন কী ভাবে ত্বক, চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন কাঠকয়লা।
ডিপ ক্লিনজিং: অ্যাক্সিভেটেড চারকোল ত্বকের রোমকূপের ভিতর থেকে পরিষ্কার করে ডিপ ক্লিনজিংয়ে সাহায্য করে।
অ্যাকনে: এক টেবিল চামচ অ্যাক্সিভেটেড চারকোলের সঙ্গে এক টেবিল চামচ বেনটোনাইট ক্লে, তিন
টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে রাখুন। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন।
তৈলাক্ত ত্বক: এক টেবিল চামচ অ্যাকটিভেটেড চারকোলের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অ্যালয় ভেরা জেল,
৪ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বক: দুই টেবিল চামচ অ্যাকটিভেটেড চারকোলের সঙ্গে আধ কাপ নারকেল তেল, দুই টেবিল চামচ বেকিং সোডা,
৪ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখ ও গলায় লাগিয়ে রাখুন। ১০ মিনিট পর হালকা গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।
ক্ষত: ত্বকের কাটা, ক্ষত জলদি সারাতেও সাহায্য করে চারকোল।
ধুলো, ময়লা, তেল দূর করে চুল ডিটক্স করতে চারকোলযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
চারকোল চুলেন গোড়া থেকে পরিষ্কার করে। ফলে মাথা হালকা লাগে। চুলের ভলিউমও ভাল লাগে দেখতে।
প্যাক লাগাতে পারেন। অথবা শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়েও নিতে পারেন।