পাকদহ গ্রামের আকাশ থেকে নীল রঙের বরফ
আকাশ থেকে বৃষ্টি পড়তে কে না দেখেছে। আর আকাশজুড়ে মেঘের খেলা, রোদের প্রখরতা সবইতো চোখে দেখা। কিন্তু সেই নীল রঙের আকাশ থেকে নীল বরফখণ্ড নিজের চোখে কখনও পড়তে দেখেছেন? স্বপ্নেও কি কখনও এরকম ভেবেছিলেন? মজার ব্যাপার হল এরকমই একটা ঘটনা বৃহস্পতিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বৃহত্তর উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় ঘটেছে। কথাটি উড়িয়ে দেবার কোনো সুযোগ নেই, কিংবা মিথ্যা-গুজব বলবেন তাও উপায় নেই। কারণ ঘটনার সত্যতা যাচায়ের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন স্থানীয় থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ(আিইসি)।
পাকদহ গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার সকালে তিনি তৈরি হচ্ছিলেন কাজে যাওয়ার জন্য। আনুমানিক ভারতীয় সময় তখন সকাল ৮টা বেজে ১৫ মিনিট। হঠাৎ বাইরের উঠোনে ধপ করে একটা আওয়াজ শুনতে পান। সেখানে যেতেই তিনি বিস্ময়ে আর চোখ ফেরাতে পারছিলেন না।বাড়ির উঠোনে প্রায় ৮ থেকে ১০ কেজি ওজনের একটা নীল রঙের বরফের খণ্ড পড়ে আছে।
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা বাইরেই ছিলাম। আচমকা আকাশ থেকে ওই নীল বরফের চাই পড়তে দেখি উঠোনে। যখন এই বরফের চাইটি এসে পড়ে, তখন বাইরে খটখটে রোদ্দুর এবং আকাশে বিন্দুমাত্র মেঘ ছিল না।’
খবর পেয়েই পুলিশের একটি টিম যায় পাকদহ গ্রামে শফিকুল ইসলামের বাড়িতে। শাসন থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ (আইসি) নাসিম আখতার বলেন, ‘আমরা গিয়ে দেখতে পাই, নীল বরফের চাইটির অনেকটাই গলে গেছে। তবে বরফের চাইয়ের অবশিষ্ট কিছু অংশ উদ্ধার করতে পেরেছি আমরা। সেই অংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কীভাবে সত্যিকারের আকাশ থেকে, নাকি কেউ চক্রান্ত করে এই ধরনের নীল বরফের চাই ফেলেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আকাশ থেকে নীল বরফের খণ্ড পড়ার কথা ছড়িয়ে পড়তেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দলে দলে মানুষ এসে ভিড় জমাতে শুরু করেন পাকদহ গ্রামের শফিকুল ইসলামের বাড়িতে। উঠোনে যে জায়গায় বরফের খণ্ডটি পড়েছে, সেই জায়গা এসিডে পোড়ার মতো কালো হয়ে গেছে।