১১৮টি দেশের মধ্যে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে’ বাংলাদেশ ৯০তম
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখনও অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও ক্ষুধা ও অপুষ্টির হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে আট বছরে ধারাবাহিক উন্নতি অব্যাহত রয়েছে।
গত সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট যে ‘বিশ্ব ক্ষুধা সূচক’ প্রকাশ করেছে, তাতে ১১৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯০তম, যদিও স্কোরের দিক দিয়ে উন্নতি হয়েছে।
এই সংস্থার ২০০৮ সালের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের স্কোর যেখানে ছিল ৩২ দশমিক ৪, এবার তা কমে ২৭ দশমিক ১ হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এই সূচকে ভারত (৯৭), পাকিস্তান (১০৭) ও আফগানিস্তানের (১১১) চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে আছে নেপাল (৭২), মিয়ানমার (৭৫) ও শ্রীলংকার (৮৪) চেয়ে।
ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অপুষ্টি, শিশুর উচ্চতার তুলনায় কম ওজন, বয়সের তুলনায় কম উচ্চতা এবং শিশুমৃত্যুর হার- এই পরিস্থিতি বিচার করে ১০০ পয়েন্টের সূচক তৈরি করেছে। যে দেশের স্কোর যত কম, সে দেশের পরিস্থিতি সবচেয়ে ভালো।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার নির্ধারিত সংজ্ঞা অনুযায়ী, একটি শিশুর প্রতিদিনের গ্রহণ করা খাদ্যের পুষ্টিমান গড়ে ১৮০০ কিলোক্যালরির কম হলে বিষয়টিকে ক্ষুধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট বলছে, গত ১৬ বছরে বিশ্বে ক্ষুধার সূচকে ভয়াবহতা ২৯ শতাংশ কমেছে, আর উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কমেছে ২৭ শতাংশ। তারপরও বিশ্বের ৫২টি দেশে ক্ষুধার্তের সংখ্যা রয়েছে উদ্বেগজনক পর্যায়ে।
ক্ষুধা সূচক বলছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ অপুষ্টির শিকার; পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১৪ দশমিক ৩ শতাংশের উচ্চতার তুলনায় ওজন কম; ওই বয়সী শিশুদের ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ শিশুর ওজন বয়সের তুলনায় কম এবং পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর হার ৩ দশমিক ৮ শতাংশ।
সূচকে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে ১৬টি দেশ, তাদের স্কোর ৫ এর কম। ১১৮ নম্বর অবস্থানে থাকা সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিকের স্কোর ৪৬ দশমিক ১।