`সাংবাদিকদের জন্য একটা ট্রাস্ট গঠনের চিন্তা করছি’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাংবাদিকদের কল্যাণে ট্রাস্ট গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে’।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের ৩১ তলাবিশিষ্ট ‘বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স’ এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন বঙ্গবন্ধু নিজেও সাংবাদিকতা করেছেন। দৈনিক ইত্তেহাদ পত্রিকার পূর্ববাংলার প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়লে সেটা জানতে পারবেন। সেই সূত্রে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিবারেরই একজন। আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা হিসেবে নিজেকে সাংবাদিক পরিবারেরই একজন মনে করি।’
তিনি বলেন, ‘ট্রাস্ট গঠনে গণমাধ্যম মালিকদের পক্ষ থেকে তেমন কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শুধু একজন আমাকে ফোন করে ট্রাস্টে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আমি আশা করব, ট্রাস্ট গঠনে মালিকপক্ষের সবাই এগিয়ে আসবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। এখন অনলাইন সংবাদ মাধ্যম বেড়েছে। তবে আমরা যারা পুরোনো মানুষ, তারা সকালে দৈনিক পত্রিকা হাতে নিয়ে এক কাপ চা খাই। সংবাদপত্রে খবর পড়ি। এখন তো ডিজিটাল সময়, প্রযুক্তির উন্নয়নে এখন সংবাদও ডিজিটাল হয়েছে। তবে পত্রিকার পাতায় সংবাদ পড়তে ভালো লাগে।’
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত চেতনা মুছে ফেলা হয়েছিল। আমরা যে বিজয়ের জাতি, সেটা বলাও ভয়ের ছিল। আমাকেও রিফিউজি জীবন কাটাতে হয়েছে ছয় বছর। এরপর আমি যখন দেশে এসেছি, গ্রামগঞ্জে ঘুরেছি তখন আমার সঙ্গে অনেক সাংবাদিকও গিয়েছিলেন। তারা জানেন বাংলাদেশ কোন অবস্থায় ছিল! সেখান থেকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে পড়া জাতি নয়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সম্পাদক পরিষদের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ