রাজধানীতে শিবিরের গুলিতে শিবির নিহত
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডট কম
রাজধানীর রূপনগর এলাকায় নাশকতাকারীদের ধরতে অভিযানের মধ্যে শিবিরকর্মীদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সংগঠনটির এক নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, নিহত এমদাদ উল্লাহ (২২) জামায়াতের সহযোগী সংগঠন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথী ছিলেন। নিজের সংগঠনের কর্মীদের গুলিতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তবে এমদাদ রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন না বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
মিরপুর থানার ওসি সালাউদ্দিন বলেন, শনিবার ভোররাতে রূপনগর বেড়ীবাঁধ এলাকায় এমদাদকে নিয়ে পুলিশের অভিযানের সময় শিবিরকর্মীদের ছোড়া গুলিতে তার মৃত্যু হয়।
এ থানার উপ পরিদর্শক বজলার রহমান জানান, এ ঘটনায় উপ পরিদর্শক কামাল হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন উপ পরিদর্শক মাসুম পারভেজ।
এজাহারের বরাত দিয়ে বজলার রহমান বলেন, শনিবার ভোররাতে মিরপুর ২ নম্বর এলাকা থেকে শিবিরের সাথী ইমদাদসহ ১১ যুবককে পেট্রোল বোমাসহ আটক করে পুলিশ।
‘এমদাদ জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, বেড়ীবাঁধ এলাকায় একদল শিবিরকর্মী মাইক্রোবাসে বসে আছে। তাদের সঙ্গে বিপুল পরিমান পেট্রোল বোমা ও বিস্ফোরক আছে, যেগুলো দিয়ে তারা গাড়িতে আগুন দেবে।’
ওই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এমদাদকে নিয়ে রূপনগর বেড়ীবাঁধ এলাকায় অভিযানে যায় বলে এসআই বজলার রহমান জানান।
তিনি বলেন, সেখানে থাকা শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় এমদাদ উল্লাহ পুলিশের ভ্যান থেকে দৌড়ে পালানোর সময় নিজের দলের কর্মীদের গুলিতে আহত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এমদাদের সঙ্গে আটক বাকিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও বজলার রহমান জানান।
নিহতের বড় ভাই হেদায়েত উল্লাহ বলেন, এমদাদ ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। মিরপুর শাহ আলী মাদ্রাসা থেকে এএসসি ও সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এএইচএসসি পাস করে ঢাকা কলেজে অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
প্রতিক্ষণ/এডি/ রাজু