বিশ্বের সবচাইতে বয়স্ক এয়ারহোস্টেস
ছোট থেকেই মাঝ আকাশের বর্ণময় জীবন আকর্ষণ করত ন্যাশকে। তাই বিমানসেবিকা হতে চাইতেন তিনি।১৬ বছর বয়সে একদিন মায়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন বিমানবন্দরে ফ্লাইট ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ন্যাশ। আশেপাশে পাইলট ও বিমানসেবিকারা যাতায়াত করছিলেন।
কিশোরী বয়সেই তাদের দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।কলেজ শেষ করেই তাই বিমান সেবিকার ট্রেনিং নিতে শুরু করেন তিনি। ১৯৫৭ সালের ৪ নভেম্বর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ন্যাশ বলেছেন, “আমার অতিথিদের আমি খুবই ভালবাসি। তাদের খেয়াল রাখতে, যত্ন-আত্তি করতে আমার এখনও খুব ভালো লাগে।”
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ওয়াশিংটন থেকে বস্টনগামী বিমানের বিমান সেবিকা ন্যাশ। প্রায় ছয় দশক ধরে এই বিমানে বিমান সেবিকার কাজ করছেন তিনি।এই বিমানের নিত্যযাত্রীদের কাছে ন্যাশ একেবারে ঘরের লোকের মতো।
শুধুমাত্র প্রথাগত দেখভাল করাই নয়, বেশির ভাগের সঙ্গেই তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ন্যাশ জানাচ্ছেন, পেশাকে ভালবাসেন ও উপভোগ করেন বলেই আজও ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় উঠতে এতটুকু ভয় লাগে না তার।তবে ন্যাশের মতে, সে যুগ থেকে এই যুগ একমাত্র টেকনোলজিই পাল্টেছে। বাকি সব রয়েছে আগের মতোই। আগে ম্যানুয়ালি অনেকটা কাজ করতে হত। আজ বেশির ভাগই মেশিনে হয়।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন