কে পেতে যাচ্ছে এ নগরীর চাবি?
ভোটারদের দুয়ারে গিয়ে ভোট চাওয়ার সময় শেষ। এখন ভোট দিতে প্রস্তুত নারায়ঞ্জবাসী। তারা যোগ্য ব্যক্তিকেই ভোট দিতে চায়। চারদিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এখন সবার মনে একটাই প্রশ্ন কে হবে এ রাজ্যের মেয়র। কার হাতে তুলে দেবে রাজ্যের চাবি?তার উত্তর জানা যাবে আজ।
আজ সকাল ৮টায় খোলা হবে ভোটের বাক্স। তিনটি উপজেলার প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ ভোটার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন। রাতে জানা যাবে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির এ মর্যাদার লড়াইয়ে কে বিজয়ী হবেন? নৌকা মার্কার প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নাকি ধানের শীষের অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান?
এছাড়া ২৭টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা তাদের দলের কাছ থেকে সমর্থন পেলেও আইনি বাধ্যবাধকতার কারণেই প্রতীক নিয়ে যেতে পারেননি ভোটারের কাছে। তাদের লড়তে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের প্রতীকে। একই অবস্থা নয়টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর ক্ষেত্রেও।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সারা দেশের মানুষের আগ্রহ অনেক। সবাই অপেক্ষা করবে বিজয়ীর নামটি শোনার জন্য।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, তারা একটি মডেল নির্বাচন উপহার দিতে চায় এখানে। ফলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে বিদায়ের আগে সর্বশেষ ভোটের অগ্নিপরীক্ষার সামনে রয়েছে ইসি। সরকারে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলেছে, তারা এখানে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট করে ‘ইসি ও ভোটকেন্দ্রিক আন্দোলন’ থেকে বিএনপিকে দূরে রাখতে চায় তারা।
আর মাঠে-ময়দানের প্রচারে তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও বিএনপির শঙ্কা রয়েছে সুষ্ঠু ভোট আর নিরাপত্তা নিয়ে। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশা, এখানে নীরব ভোট-বিপ্লব ঘটবে। যদিও বিএনপির সেনা মোতায়েসেন দাবি অগ্রাহ্য হয়েছে। তবে এর পাশাপাশি বিএনপিকে সংবাদ সম্মেলন করে বলতে হয়েছে, তারা শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকছেন, লড়াইয়ের ময়দান ছাড়ছে না। কারণ, গত সিটি নির্বাচনে ভোটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে মাঠ ছেড়ে যান মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। তবে এবার বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘এটি নৌকা আর ধানের শীষের মর্যাদার লড়াই। এখান থেকে ফেরার কোনো সুযোগ নেই।’
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ