শিক্ষার্থীদের মোবাইল গেমস আসক্তি

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬ সময়ঃ ৯:৪৫ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ

আফজাল হোসাইন মিয়াজী:

mobile games addiction

আমি জানি এখন যে বিষয়টি উপস্থাপন করব তা নিয়ে অনেকে দ্বিমত পোষণ করবেন। এমনকি আমার ফেইসবুকের যেসব বন্ধুরা সংক্রামক গেমসের ভক্ত তারা হয়তো মন খারাপ করবেন।

প্রতিটি অভিভাবকই চায় তার সন্তান প্রযুক্তির স্পর্শে বেড়ে উঠুক, এগিয়ে যাক, এগিয়ে নিক পিছিয়ে থাকা দেশটাকে। শুধু অভিভাবকগণ নয় সচেতন প্রতিটি মানুষের একই স্বপ্ন, একই প্রত্যাশা। প্রযুক্তির সংস্পর্শে শিক্ষার্থীরাসহ দেশের প্রতিটি মানুষ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়বে; এতে কোনো সন্দেহ নেই। পরিবর্তন আসবে এটা হয়তো নিশ্চিত। পাশাপাশি কতটা পরিবর্তন আসবে, পরিবর্তনটা কেমন হতে পারে, সুফল-কুফল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ভাবতে হবে।

আমাদের অভিভাবকদের বড় একটা অংশ যারা সন্তানের হাতে এন্ড্রয়েড কিংবা ল্যাপটপ তুলে আনন্দে আত্মহারা হন। এমনকি গর্বও করে থাকেন। কখনো কি খোঁজ নিয়েছেন আপনার সন্তান কীভাবে সেই প্রযুক্তির ব্যবহার করছে?

সবকিছুরই দুটো দিক আছে ইতিবাচক ও নেতিবাচক তা ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। ডাক্তারের হাতে ছুরি আর ছোট বাচ্চার হাতের ছুরি; দুটোর ব্যবধান আকাশ পাতাল।বাচ্চারা সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে থাকে; এটা আসলে গর্বের কিছুই নয় বরং আপনার ভয়াবহ দুশ্চিন্তার কারণ হচ্ছে অজান্তে।

শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত সময় দিচ্ছে মোবাইলে, ঘন্টার পর ঘন্টা খেলছে ক্লেশ অফ ক্লেন। যার ফলে তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পড়াশোনায় মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি জন্মাচ্ছে। এই আসক্তিই দু:চিন্তার কারণ। বাড়াবাড়ির ফলাফল কখনও ভালো হতে পারে না। এ বিষয়টির দিকে এখন আমাদের খেয়াল করার সময় এসেছে।

(চলবে….)

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G